হেড লাইন: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ইসকন পরিচালিত শ্রী শ্রী হরেকৃষ্ণ নামহট্ট সংঘ ভাঙচুরের ঘটনায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান প্রান্ত, তার ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান শান্ত এবং পৌর ছাত্রলীগের উপ শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক মো. সানজিদ। এদিকে, শনিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী (বিপিএম)। এছাড়াও ঘটনার দিন থেকেই ঘটনাস্থলে বিশেষ তদারকি করছেন ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন, ভৈরব সেনা ক্যাম্পের মেজর সানজিদুল ইসলাম, ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত ওসির দায়িত্বে থাকা তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীন।
পুলিশ জানায়, গত ২৯ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পৌর শহরের রাণীর বাজার এলাকায় অদৈত্য সাহার বিল্ডিংয়ের নিচতলায় কিছু দুষ্কৃতিকারী লাঠি সোঁটা নিয়ে ইসকন পরিচালিত শ্রী শ্রী হরেকৃষ্ণ নামহট্ট সংঘ ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় ইসকন নামহট্ট সংঘের সদস্য প্রণয় কর্মকার বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর তাদের আদালতের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। শ্রী শ্রী হরেকৃষ্ণ নামহট্ট সংঘের সদস্য অভিযোগকারী প্রণয় কর্মকার বলেন,
১০ বছর ধরে নরসিংদী ইসকন মন্দির থেকে ভৈরবের শ্রী শ্রী হরেকৃষ্ণ নামহট্ট সংঘটি পরিচালনা করা হয়। আমরা সপ্তাহে একদিন (রোববার) এখানে কীর্তন ও গীতা পাঠ করি। আমাদের সংঘটি বন্ধ ছিল। কে বা কারা এসে ভাঙচুর করেছে আমরা জানি না। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দোষীকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনে আওতায় আনা হবে। তদন্তটিম বিভিন্নভাবে দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করতে কাজ করছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |