ভারতের মেঘালয় বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের বর্ডার আউটপোস্টে (বিওপি) এক বিরল এবং রহস্যময় ঘটনার সূত্র ধরে গোটা বাহিনীতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। উচ্চ প্রশিক্ষিত গোয়েন্দা কুকুর ল্যান্সি তিনটি কুকুরছানার জন্ম দেওয়ার পর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে—ল্যান্সি অন্তঃসত্ত্বা হল কী করে? বিষয়টি তদন্তের জন্য বিএসএফ কর্তৃপক্ষ ‘কোর্ট অব এনকোয়ারি’ গঠন করেছে। খুঁজে দেখা হবে এই কাণ্ডের পিছনে কার হাত।
সীমান্তে মোতায়েন ল্যান্সি বিএসএফের প্রশিক্ষিত স্নিফার ডগ। উচ্চ নিরাপত্তা বিশিষ্ট এলাকায় এমন কুকুরদের কাজ এবং প্রজননের জন্য বিশেষ নিয়মকানুন নির্ধারিত থাকে এবং আলাদা ক্যালেন্ডার তৈরি থাকে সংশ্লিষ্ট বিভাগে। কিন্তু ল্যান্সির ক্ষেত্রে সে সব কোন নিয়ম-নীতি নেই! যা বড় ধরনের নিয়মভঙ্গের আওতায় পড়ছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আর তাই বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ‘কোর্ট অব এনকোয়ারি’ তৈরি করে।
জানা যায়, ভারতীয় সেনা, পুলিশ বা আধাসেনায় যে সমস্ত প্রশিক্ষিত গোয়েন্দা কুকুর থাকে, তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে এক জন করে ‘হ্যান্ডলার’ থাকেন। ‘হ্যান্ডলার’রাই ২৪ ঘণ্টা কুকুরটির দেখভাল করেন। স্নিফার ডগের কাছাকাছি যাতে কোনও রাস্তার কুকুর চলে আসতে না পারে, তা-ও নিশ্চিত করেন ‘হ্যান্ডলার’রাই। ল্যান্সির ক্ষেত্রে তাই তার ‘হ্যান্ডলার’-এর ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হবে। কী ভাবে সকলের নজর এড়িয়ে এই ঘটনা ঘটল তাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বিএসএফ। শৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনীতে এই বিষয়গুলোকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়াই দস্তুর। এ ক্ষেত্রেও তাই ‘কোর্ট অব এনকোয়ারি’ গড়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতীয় বিএসএফ-সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় বাহিনীতে গোয়েন্দা কুকুরদের প্রশিক্ষণ, প্রজনন, টিকাকরণ, খাদ্য এবং স্বাস্থ্য নিয়ে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা হয়। বিএসএফের পশু চিকিৎসা বিভাগের অনুমতি পেলে তবেই কোনও প্রশিক্ষিত কুকুরকে প্রজনন চক্রে যেতে দেওয়া হয়।
সূত্র: আনন্দ বাজার পত্রিকা
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |