ত্রিভুজ প্রেমের বলি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতার দাঁত! ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং এর ঘটনা। শাহবাগে জাদুঘরের সামনে চুড়ির দোকানে সিভিল ড্রেসে রমনা বিভাগের সাবেক এডিসি হারুণ ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সানজিদা আফরিনকে চুড়ি কিনে পরিয়ে দিচ্ছিলেন….
এই নারী পুলিশ কর্মকর্তার সাথে প র কী য়ার সম্পর্ক ছিল তৎকালীন আওয়ামী পুলিশের বির্তকিত এডিসি হারুনের। সানজিদা আফরিন এবং তার পরকিয়া প্রেমিক হারুনকে হাতেনাতে ধরেন সানজিদার স্বামী রাষ্ট্রপতির এপিএস ৩১ তম বিসিএসের অ্যাডমিন ক্যাডারের আজিজুল হক মামুন। এসময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতা সানজিদার স্বামীর সাথে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় এডিসি হারুনের সাথে আজিজুল হক মামুনের তর্কাতর্কি হয়। শাহবাগ থানায় এসে ওই ছাত্রলীগ নেতাদের ফোন করে ডেকে নিয়ে আসে। এরপর চোয়ালের ডায়াগ্রাম বদলে দেয় এডিসি হারুন।
বলে রাখা ভালো, এডিসি হারুনও সাবেক পদধারী ছাত্রলীগ নেতা। থানায় আটকে এমন নির্যাতনের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন হারুনের প্রেমিকা সানজিদা।
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার দাঁত ভা‘ঙ্গা‘র বিচার করতে ডিএমপি কার্যালয়ে যায় তৎকালীন নিষিদ্ধ ছাএলীগের আদু ভাইয়েরা।
৫ আগষ্টের পরে সবকিছু পরিবর্তন হইলেও পরিবর্তন হয় নাই এসব আওয়ামী দোসর ও চরিত্রহীন লম্পটেরা। সর্বশেষ দরবেশ সালমান ও আনিসুলকে সাহায্য করতে গেছে এই সানজিদা তাই আজকে সাময়িক বহিস্কার হয়ে গেছে। এতকিছুর পরও এরা কিভাবে স্বপদে বহাল থাকে?
উল্লেখ্য,সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে রক্ষা চেষ্টার অভিযোগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সানজিদা আফরিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বর্তমানে সানজিদা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) কর্মরত। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সানজিদাকে সরকারি চাকরিবিধি আইনে বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকালে তিনি বরিশাল রেঞ্জে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।
জানা যায়, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হত্যার দুটি মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিফ।
কিন্তু আদালতে ওই প্রতিবেদন জমার আগেই বিষয়টি জানাজানি হলে পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিফকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে জাহাঙ্গীর আরিফ দাবি করেছেন, তিনি অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিনের নির্দেশে এ কাজ করেছেন।
তবে এডিসি সানজিদা আফরিনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত দেননি উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, এমন আলোচিত মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার সিদ্ধান্তের এখতিয়ার তার নেই।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |