প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক জাতিসংঘে বাংলাদেশের নিষেধাজ্ঞা চায়, কে এই গোষ্ঠী?

জাতিসংঘে বাংলাদেশের নিষেধাজ্ঞা চায়, কে এই গোষ্ঠী?

ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি হিন্দুদের একটি দল সম্প্রতি ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যাতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সুরক্ষার জন্য জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় এবং ১৯৪৭ সালের দেশভাগের অসমাপ্ত জনসংখ্যা বিনিময় সম্পন্ন করা হয়। এই দলটি “গ্লোবাল বেঙ্গলি হিন্দু কোয়ালিশন” এর সঙ্গে যুক্ত এবং বর্তমানে ভারতের রাজধানীতে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছে।

বাংলাদেশি সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় পাঁচ দফা প্রস্তাব
দলটি এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে, যেখানে বলা হয়েছে: জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করা, যাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা, যাকে তারা “অবৈধ ও জিহাদপন্থী” বলে উল্লেখ করেছে।দেশভাগের অসমাপ্ত জনসংখ্যা বিনিময় সম্পন্ন করা, যা সংখ্যালঘুদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করবে।হিন্দু-সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় সুরক্ষিত অঞ্চল তৈরি করা, যাতে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।বাংলাদেশের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কোটার পুনর্মূল্যায়ন করা, কারণ এটি সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় ব্যর্থপ্রতিবেদন অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলার সংখ্যা বেড়েছে। আগস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ৫১টি মন্দির, অনাথ আশ্রম এবং শ্মশানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। নাটোর সদরে একটি মন্দিরে ডাকাতি এবং এর সেবায়েতকে হত্যা করা হয়।

ভারতের প্রতি আহ্বান
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নেতা সিতাংশু গুহ বলেন, “ভারত আমাদের সেরা বন্ধু। তারা বাংলাদেশি ২০ মিলিয়ন হিন্দুকে রক্ষা করতে পারে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা অনুকরণীয় ছিল এবং বর্তমান পরিস্থিতিতেও ভারত এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে।

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অবনতি
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ক্রমশ অবনতির দিকে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনাগুলিকে অতিরঞ্জিত বলে দাবি করেছে। তবে, আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়টি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।প্রবাসী বাংলাদেশি হিন্দুরা এই বিষয়ে ভারতের সক্রিয় ভূমিকা আশা করছে, যাতে তাদের সম্প্রদায় রক্ষা পায় এবং বাংলাদেশে তাদের মানবাধিকার নিশ্চিত হয়।