আবহাওয়া: প্রায় ২০০ বছর আগে রহস্যময় এক আগ্নেয়গিরি প্রলয়ংকরীভাবে উদগিরিত হয়েছিল। এটি এতটাই শক্তিশালীভাবে বিস্ফোরিত হয়েছিল যে গোটা পৃথিবীর তাপমাত্রা কমে যায়। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এই ‘রহস্যময় আগ্নেয়গিরি’ শনাক্ত করেছেন। ১৮৩১ সালের দিকে ঘটা এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ উনিশ শতাব্দীর অন্যতম শক্তিশালী বিস্ফোরণ ছিল। এসময় বায়ুমণ্ডলে বিপুল পরিমাণে সালফার ডাই-অক্সাইড ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে উত্তর গোলার্ধের তাপমাত্রা প্রায় এক ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যায়। এমন আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল লিটল আইস এজের শেষ পর্যায়ে, যা ছিল পৃথিবীর গত ১০ হাজার বছরের অন্যতম শীতল সময়। খবর সিএনএনের।
গবেষণায় উঠে আসে, রহস্যময় আগ্নেয়গিরিটি রাশিয়া ও জাপানের মধ্যবর্তী কুরিল দ্বীপপুঞ্জের সিমুশির দ্বীপের জাভারিতস্কি আগ্নেয়গিরি। গ্রিনল্যান্ডের বরফ স্তরের পরীক্ষা থেকে দেখা যায়, ১৮৩১ সালে সালফারের উদগিরণ অ্যান্টার্কটিকার তুলনায় গ্রিনল্যান্ডে প্রায় সাড়ে ছয় গুণ বেশি ছিল। গবেষকরা জানান, এই তথ্য নির্দেশ করে, এর উৎসটি উত্তর গোলার্ধের মধ্য-অক্ষাংশের একটি বড় আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ। এই বিস্ফোরণের আগে জানা মতে এই আগ্নেয়গিরিতে এমন ভয়াবহ মাত্রায় সবশেষ বিস্ফোরণ (অগ্ন্যুৎপাত) হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ সালে।
বরফে ঢাকা গ্রিনল্যান্ডের বরফের স্তর থেকে সালফার আইসোটোপ, ছাই এবং কাঁচের কণা বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা এর অবস্থান শনাক্ত করেন। রেডিওকার্বন ডেটিং ও কম্পিউটার মডেলিংয়ের মাধ্যমে ১৮৩১ সালের বিস্ফোরণের সঙ্গে জাভারিতস্কি আগ্নেয়গিরির মিল পাওয়া যায়। বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট জলবায়ুর পরিবর্তনে ব্যাপকমাত্রায় ফসল নষ্ট হয়ে ভারত, জাপান এবং ইউরোপে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। গবেষকরা মত দিয়েছেন, এই অনন্য আবিষ্কার আগ্নেয়গিরির বৈশ্বিক প্রভাব সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিবে। তবে বিজ্ঞানী ড. হাচিসন সতর্ক করেছেন, ভবিষ্যতে এমন কোনো বড় অগ্ন্যুৎপাতের জন্য বৈশ্বিক পর্যায়ে প্রস্তুত হওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |