
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। অভিযোগ উঠেছে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও জোরপূর্বক গুমের ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, শেখ হাসিনাকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাজির করতে হবে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত এবং ২০১৬ সালে সংশোধিত প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা বিচারপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার অভাব থাকলে প্রত্যর্পণ প্রযোজ্য নয়। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ থাকলেও এটি রাজনৈতিক বিষয় বলে বিবেচিত হতে পারে।
প্রত্যর্পণের জন্য কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ভারতের কাছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও প্রমাণাদি পাঠানো হয়েছে। ভারত তদন্তের প্রমাণ যাচাই করবে এবং নিশ্চিত করবে যে অভিযোগ যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য কিনা।
তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষয়টি শুধু আইনি নয়, এটি একটি কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। ভারত যদি মনে করে শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়া তাদের স্বার্থের পরিপন্থী, তবে তারা দীর্ঘ সময় প্রক্রিয়া ঝুলিয়ে রাখতে পারে।
ভারত সরকারের কাছ থেকে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে তারা এই পরিস্থিতিতে তাড়াহুড়ো করতে নারাজ। শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সমীকরণ এখানে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।







































