প্রচ্ছদ সারাদেশ নতুন নির্দেশনায় ইন্টারনেট প্যাকেজে যেসব সুবিধা দিচ্ছে বিটিআরসি

নতুন নির্দেশনায় ইন্টারনেট প্যাকেজে যেসব সুবিধা দিচ্ছে বিটিআরসি

মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজের জন্য সীমা তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এখন থেকে ঘণ্টাভিত্তিক প্যাকেজও কিনতে পারবেন গ্রাহকরা।

সম্প্রতি বিটিআরসি এক নতুন নির্দেশিকা জারি করে এ তথ্য জানায়। নতুন নির্দেশিকার কারণে প্রায় ১৫ মাসের পর ইন্টারনেট প্যাকেজ বিক্রির ক্ষেত্রে অপারেটরদের ওপর থাকা শর্তগুলি শিথিল হয়েছে।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইন্টারনেট প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অব্যবহৃত ডাটা বা অবশিষ্ট ডাটা শুধু ওই প্যাকেজেই নয়, বরং নতুন যেকোনো প্যাকেজ কিনলেও তা সংযুক্ত হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে গ্রাহকদের পূর্বের অব্যবহৃত ডাটা ফেরত পেতে একই প্যাকেজ ফের কেনার বাধ্যবাধকতা থাকবে না।

নতুন নির্দেশনায় গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষায় এ পরিবর্তন আনা হয়েছে।

নতুন নির্দেশিকায় অপারেটররা তিন ধরনের প্যাকেজ দিতে পারবে :

১. নিয়মিত প্যাকেজগুলোর মেয়াদ সর্বনিম্ন ১৫ দিন।

২. গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজের মেয়াদ সর্বনিম্ন ৩ দিন।
৩. রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্যাকেজ সর্বনিম্ন সাত দিন মেয়াদি হবে।
এই তিন ধরনের প্যাকেজের বাইরে মোবাইল অপারেটররা নিজস্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্যাকেজ নির্ধারণ করতে পারবে। এর আওতায় ঘণ্টাভিত্তিক এবং এক থেকে তিন দিন মেয়াদি প্যাকেজ করার সুযোগ দিয়েছে বিটিআরসি।

নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতি ঘণ্টার জন্য সর্বোচ্চ ২০০ এমবি, এক দিনের জন্য সর্বোচ্চ ৩ জিবি, দুদিনের জন্য সর্বোচ্চ ৫ জিবি এবং তিন দিনের জন্য সর্বোচ্চ ৮ জিবি প্যাকেজ দিতে পারবে অপারেটররা।

এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরে বিটিআরসি সর্বশেষ যে নির্দেশিকা দিয়েছিল, সেখানে প্যাকেজের সংখ্যা ৪০টি সীমাবদ্ধ ছিল এবং মেয়াদও ছিল ৭ দিন, ৩০ দিন এবং আনলিমিটেড। যা নিয়ে অনেক দিন ধরেই অপারেটরদের মধ্যে অসন্তোষ কাজ করছিল।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।