প্রচ্ছদ হেড লাইন হঠাৎই বিরল স্নায়ুবিক রোগে আক্রান্ত ২৬ নারীসহ ৭৩, ভেন্টিলেশনে ১৪

হঠাৎই বিরল স্নায়ুবিক রোগে আক্রান্ত ২৬ নারীসহ ৭৩, ভেন্টিলেশনে ১৪

হেড লাইন: মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে ছড়িয়ে পড়েছে বিরল রোগ গুইলেন বারে সিনড্রোম বা জিবিএস। সোমবার থেকে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) পর্যন্ত ভারতের পুনেতে বিরল স্নায়ুবিক রোগটিতে ৭৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটির স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে আরও জানানো হয়, এই রোগে মোট ৭৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪৭ জন পুরুষ ও ২৬ জন নারী রয়েছেন। এদের মধ্যে ভেন্টিলেশনে রয়েছেন ১৪ জন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।

জিবিএস একটি বিরল স্নায়ুবিক (নিউরোলজিক্যাল) রোগ যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা ভুলভাবে স্নায়ুতন্ত্রের অংশ মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের বাইরে অবস্থিত স্নায়ুর নানা অংশকে আক্রমণ করে। এমনটি আক্রান্তকারীকে দুর্বল করাসহ পক্ষাঘাতের মতো অবস্থা তৈরি করতে পারে। তবে আশার কথা হচ্ছে- বেশিরভাগ সময়েই আক্রান্ত রোগী সাধারণত জিবিএসের সবচেয়ে গুরুতর অবস্থা থেকেও সুস্থ হয়ে উঠেন।

এর লক্ষণ হিসেবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হাত বা পায়ের অনুভূতি বা সঞ্চালন ক্ষমতা কমে যায়। শিশু হাঁটার অসুবিধাসহ উপসর্গগুলো দেখাবে এবং হাঁটতে অস্বীকার করতে পারে। শরীরের উভয় পাশে দুর্বলতা একটি প্রধান উপসর্গ। এতে প্রায়ই অন্ত্র, শ্বাস পেশী এবং এমনকি মুখকে প্রভাবিত করে, যা আরও ব্যাপকভাবে স্নায়ুকে ক্ষতি করে। উপসর্গগুলো প্রকাশিত হওয়ার প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তি দুর্বলতার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছায়। তৃতীয় সপ্তাহে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতির লক্ষণ দেখা যায়। উপসর্গগুলোর মধ্যে পেশী দুর্বলতা ছাড়াও, উপসর্গগুলো অন্তর্ভুক্ত হতে পারে, চোখের পেশী এবং দেখতে কষ্ট হওয়া, কথা বলা বা চিবানোর সমস্যা হওয়া, হাত বা পায়ে অনুভূতি কমে যাওয়া, ব্যথা যে বিশেষ করে রাতে, গুরুতর হতে পারে, হৃদস্পন্দন বা রক্তচাপের অস্বাভাবিকতা এবং প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণের সমস্যা হওয়া।

সূত্র: Channel 24