সম্প্রতি শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার পতনের ডাক দিয়েছে জামায়াত, শাহবাগ থেকে গরম পানি নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ শুরু হয়েছে। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু। এই ইউনুস (আপনি) তাড়াতাড়ি পাকিস্তান চলে যা বাংলাদেশে আর জায়গা হবে না তোর জয় বাংলা’ শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়ার পর ওই ভিডিওটিতে প্রায় ৭ হাজারেরও বেশি বার দেখা হয়েছে এবং প্রায় চার’শর বেশি অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওতে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।
ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটা ও জলকামান ছোড়ার কোনো ঘটনার নয় বরং, গত ২৬ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকায় ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের জলকামান নিয়ে অবস্থানের সময়ে ধারণকৃত দৃশ্যকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে শুরুতে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে এতে দৈনিক ইত্তেফাক এর লোগো দেখা যায়।
ওই তথ্যের সূত্র ধরে দৈনিক ইত্তেফাক এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৬ জানুয়ারির ‘ শাহবাগে উত্তপ্ত পরিস্থিতি, পুলিশের জল কামান নিক্ষেপ’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে উক্ত প্রতিবেদনের ভিডিওর সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির প্রথম ৫৮ সেকেন্ডের মিল রয়েছে ৷
একই দিনে মূলধারার আরেক গণমাধ্যম যায়যায়দিন-এর ইউটিউব চ্যানেলেও একই ভিডিওটি প্রকাশিত হয়।পরবর্তীতে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চ করে একই দিনে মূলধারার গণমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো-এর ওয়েবসাইটে ‘শাহবাগে ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ওপর পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড, লাঠিপেটা, আহত ৬’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।
অর্থাৎ, ভিন্ন ঘটনার ভিডিও ফুটেজকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। সুতরাং, জামায়াত ইসলামীর কর্মসূচিতে পুলিশের গরম পানি নিক্ষেপ ও লাঠিপেটার দৃশ্য দাবিতে ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের জলকামান নিয়ে অবস্থানের ঘটনার ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |