হেড লাইন: দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যুদ্ধ পরিস্থিতির মতো সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ বছরটিকে দেশের জন্য অত্যন্ত সংকটময় মনে করে কাউকে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি। কিন্তু হঠাৎ কী কারণে প্রধান উপদেষ্টার এমন নির্দেশ ? জুলাই এর গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার পতন হলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই উদ্যোগ নেওয়া হয়। রাষ্ট্র সংস্কারের প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন। বর্তমানে নানামুখী সংস্কার ব্যস্ত অন্তর্বর্তী সরকার ।তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বে আসার পর থেকেই দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা অব্যাহত আছে। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সঙ্কট এবং একের পর এক আন্দোলনের দাবির মুখে শেষ হয়েছে ২০২৪ সাল। চলতি বছরে নতুন করে যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন দাবিতে আন্দোলন। আর আন্দোলন মানেই এখন প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি।
এমন অবস্থায় ২০২৫ সালকে দেশের জন্য অত্যন্ত সংকটময় বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দেশে কাউকে নতুন করে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন, যুদ্ধ পরিস্থিতির মতো সতর্ক থাকার।বলছেন যে কোনও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি কঠোর হাতে দমন করতে হবে। ৩ ফেব্রুয়ারি দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট, জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বক্স চৌধুরী, স্বরাষ্ট্রসচিব নাসিম উল গণি, পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলমসহ বিজিবি, র্যাব, ডিএমপি, কোস্ট গার্ড ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের কর্মকর্তারা।
প্রধান উপদেষ্টা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কমান্ড সেন্টার স্থাপনের নির্দেশ দিয়ে বলেন, নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে সর্বাধুনিক যোগাযোগ সরঞ্জাম সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে যাতে তাঁরা যে কোনও পরিস্থিতিতে দ্রুত হস্তক্ষেপ করতে পারে। এছাড়া দেশের সব আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে কেন্দ্রীয় কমান্ড হেডকোয়ার্টারে স্থাপনের তাগিদ দেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সহযোগীরা নৈরাজ্য সৃষ্টি ও অপপ্রচারের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং এ অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। বৈঠকে তিনি প্রত্যেক নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর যে কোনও হামলা প্রতিহত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সূত্র: জনকণ্ঠ । Janakantha
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |