সারাদেশ: সাবেক মার্কিন কংগ্রেসওম্যান ও রাজনীতিক তুলসী গ্যাবার্ড বাংলাদেশে এক নতুন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তার অভিজ্ঞতা ও আন্তর্জাতিক সংযোগ বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
সম্প্রতি, তুলসী গ্যাবার্ডের নাম বাংলাদেশে আলোচনায়। তিনি মার্কিন রাজনীতিতে পরিচিত একটি নাম, বিশেষ করে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা প্রতিদ্বন্দ্বিতার সময় তিনি বিশ্বজুড়ে নজর কেড়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক পদে বসা তুলসী গ্যাভার্টের বাংলাদেশ নিয়ে আছে তুমূল আগ্রহ এদেশের পরিস্থিতি। বিশেষ করে হিন্দুদের পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষভাবে আগ্রহী তিনি। এর ফলে তাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা জল্পনাকল্পনা।
শপথের পর তিনিই হলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী গোয়েন্দা পরিচালক। তুলসী একজন হিন্দু এবং ইসকন সদস্য হিন্দুদের অধিকার নিয়ে তিনি সবসময় সোচ্চার হিন্দুদের প্রতি উচ্চ কণ্ঠ তুলসীর শক্তিমত্তাও কম নয়। যুদ্ধের ময়দানে তিনি যেন একাই ১০০। রাজনীতি ছাড়াও দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি ন্যাশনাল গার্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে তুলসী গ্যাবার্ড একটি প্রভাব রাখতে পারেন। তার বৈদেশিক নীতি, সামরিক অভিজ্ঞতা এবং ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। ভারত সরকার ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তুলসী গ্যাবার্ডের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এমনকি শপথ গ্রহণের দিনেই মোদির সাথে বৈঠক করেছেন তুলসী। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গ্যাবার্ডের ভূমিকা কীভাবে কার্যকর হতে পারে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
সূত্র: জনকণ্ঠ
