
বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ইউনুস আলী সিদ্দিকীকে অবরুদ্ধ করেছে ছাত্রদল, সেচ্ছাসেবক দলের অর্ধশত নেতাকর্মী। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটিতে নগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদারকে সভাপতি না করায় তাকে অবরুদ্ধ করা হয়।
জিয়া ইতোমধ্যে নগরীর রুপাতলী জাগূয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হয়েছেন। এরপরেও তিনি রুপাতলী এ ওয়াহেদ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হতে চাচ্ছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ একদল নেতাকর্মী চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে জড়ো হন। এ সময় হঠাৎ করে তারা বোর্ড চেয়ারম্যানের কক্ষের ভেতরে ঢুকে তার কাছে জানতে চান, কেনো জিয়াকে এ ওয়াহেদ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি করা হয়নি। কেউ কেউ আবার টেবিল চাপড়ে চেয়ারম্যানকে হুমকিও দেয়।
বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছুটে গিয়ে দরজা খুলে চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করেন।
এ সময় সেখানে গণমাধ্যমকর্মী এবং গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা গেলে জিয়ার অনুসারীরা সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
বরিশাল নগরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি শাহরিয়ার তুষার বলেন, তিনি বোর্ড চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান। সেখানে কুশল বিনিময় করেন। চেয়ারম্যানকে ঘেরাও করছে এমনটা তিনি দেখেননি।
মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক সোলায়মান বলেন, ‘আমি কেনো বোর্ডে যাব। আমি কিছুই জানি না।’
ছাত্রদল নেতা ইলিয়াস তালুকদার বলেন, ‘চেয়ারম্যানের কাছে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যাই। জিয়া ভাইয়ের কমিটি নিয়ে কোনো কিছু না। তবে জিয়া ভাইয়ে একটি কমিটি আছে।
আমরা বলছি, সম্ভব হলে স্কুল কমিটির বিষয়টা দেখবেন।’
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এরাই শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিতর্কে জড়ান তারা।
বোর্ডের সহকারী সচিব এবং কর্মচারী সংঘের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ওয়াহেদ বিদ্যালয়ের যে কমিটি জমা দেওয়া হয়েছে তাতে যার নাম ১ নম্বরে রাখা হয়েছে তিনি ফ্যাসিস্ট। এ জন্য ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা গিয়ে বলেন যে ফ্যাসিস্ট কাউকে রাখা যাবে না। জিয়া ভাইকে রাখতে হবে। তার দাবি, অবরুদ্ধ নয়, অনেক মানুষ তাই এমন মনে হয়েছে।
শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ইউনুস আলী সিদ্দিকী তাৎক্ষণিক বক্তব্যে সাংবাদিকদের বলেন, এ ওয়াহেদ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আহ্বায়ক কমিটির প্যানেলে ২ নম্বরে রাখা হয়েছে জিয়াকে। ১ নম্বরে রাখা হয়েছে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আ. ছালামের স্ত্রীকে।
তিনি বলেন, ‘একদল কর্মী জানতে চেয়েছে, কেনো জিয়ার নাম ২ নম্বরে গেল। নাম প্রস্তাব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এরপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কে আহ্বায়ক হবেন তা বিভাগীয় কমিশনার মহোদয় নির্ধারণ করে তালিকা পাঠান। এখানে আমাদের হাতে কিছুই নেই।’
তিনি আরো বলেন, জিয়া ইতিমধ্যে নগরীর রুপাতলী জাগূয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হয়েছেন।
জিয়া বলেন, ‘আমি তো ঢাকায় আছি। চেয়ারম্যান যদি নাম না বলে তাহলে আমাদের কী করার। যারা গিয়েছিল তাদের তারা চেনে না। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর লোকদের তিনি চেনেন না।’
এ ওয়াহেদ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক তুষার কান্তি বলেন, ‘আমি জিয়ার নাম ১ নম্বরে দিয়েছি। বিভাগীয় কমিশনার তা পরিবর্তন করেছেন। এখানে শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানের কিছু করার নেই।
সুত্রঃ কালের কণ্ঠের
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |