প্রচ্ছদ জাতীয় স্থানীয় নির্বাচন কেন আগে চায় জামায়াত, এতে কাদের লাভ?

স্থানীয় নির্বাচন কেন আগে চায় জামায়াত, এতে কাদের লাভ?

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তাল। আগে জাতীয় নির্বাচন নাকি স্থানীয় নির্বাচন এটি নিয়েই বিভেদ তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। বিএনপিসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো বলছে আগে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের কথা। অপরদিকে জামায়াতে ইসলামী চাইছে আগে স্থানীয় নির্বাচন এবং পরে জাতীয় নির্বাচন। এ বিষয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়, যেখানে উল্লেখ করা হয় জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দিল্লির ষড়যন্ত্রের কথা। যা সামাজিক মাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলেছে। যদিও বেশ কয়েকদিন যাবৎ এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছিলো বিভিন্ন মাধ্যমে।

আগে স্থানীয় নির্বাচন হলে এখানে লাভটা আসলে কার? ফ্যাসিস্ট হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন দেখছে আর একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। নেটিজেনদের মতে হাসিনার ষড়যন্ত্রেরই একটা অংশ স্থানীয় নির্বাচন আগে চাওয়া। বেলাশেষে এখানে লাভটা হবে হাসিনা আর তার দল আওয়ামী লীগের। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মতে স্থানীয় নির্বাচন আগে হলে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ সেই সুযোগ লুফে নিবে। স্থানীয় পর্যায়ে থাকা তাদের দোসররা অন্য দলগুলোর ছত্রছায়ায় দল গোছাবে আবার প্রতিষ্ঠা করবে স্বৈরতন্ত্রের। পক্ষান্তরে জাতীয় নির্বাচন আগে হলে এই সুযোগ পাবে না আওয়ামী লীগের দালালরা।এছাড়া স্থানীয় নির্বাচন আগে হলে দেশব্যাপী আওয়ামী দোসররা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে আর ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলবে। হাসিনা ভারতের সাথে মিলে অনেক ষড়যন্ত্র করেছে কিন্তু কোনটিতেই সফলতা পায়নি এখনো। তাই নতুন করে নীল নকশা আঁকছে জাতীয় নির্বাচন বানচালের।

স্বৈরাচার হাসিনার ভারতের সাথে মিলে করা এই ষড়যন্ত্র বুঝতে না পারলে তার কঠিন খেসারত দিতে হবে বাংলাদেশের জনগণ আর অন্তর্বর্তী সরকারকে এমনটিই মনে করেন নেটিজেনরা। মিতা রহমান নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ভারতের নতুন ষড়যন্ত্রের অংশ জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে স্থানীয় নির্বাচন আগে করা। সময় থাকতে সকলে সতর্ক হই।

ইতিমধ্যে জামায়াতের স্থানীয় নির্বাচন আগে চাওয়ার সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধীতা করেছে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি বিজেপির সভাপতি ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থসহ প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতারা জামায়াতের এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে জাতীয় নির্বাচন আগে দেয়ার দাবি জানিয়েছে।জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নির্বাচন যত দেরি হবে ষড়যন্ত্রের ডালপালা তত বাড়বে। এসময় তিনি স্বৈরাচার হাসিনাকে ভারত আশ্রয় দেয়ায় তারও সমালোচনা করেন। হাসিনা আর ভারতের এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে দেশের জনগণ আর অন্তর্বর্তী সরকারকে এমনটিই মনে করেন নেটিজেনরা।

সূত্র: ইনকিলাব