প্রচ্ছদ হেড লাইন তেল নিয়ে তেলেসমাতি

তেল নিয়ে তেলেসমাতি

হেড লাইন: বছরের অন্য সময়ের চেয়ে রমজানে ৬ থেকে ৭টি খাদ্যপণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। অনেকটা আমদানি নির্ভর হওয়ায় রমজানকে সামনে রেখে সেসব পণ্য বিদেশ থেকে বাড়তি আনার উদ্যোগও থাকে ব্যবসায়ীদের। সচরাচর রমজানের ৩ মাস আগে শুরু হয় পণ্য আমদানি প্রক্রিয়া। আর বেশিরভাগ পণ্যই দেশে পৌঁছে শেষ ২ মাসে। যার খালাস নির্বিঘ্ন করতে বিশেষ তদারকি থাকে বন্দর-কাস্টমসের। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার মোহাম্মদ কাউছার আলম পাটওয়ারী বলেন, এ বছর বেশিরভাগ পণ্যই প্রথম লেয়ারেই নিষ্পত্তি হয়ে যাচ্ছে। অল্প কিছু সংখ্যক পণ্য পরীক্ষার জন্যে নির্বাচিত হচ্ছে।

কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, গেল দেড়মাসে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে চাহিদার প্রায় ৯ গুণ। চিনি এসেছে প্রায় দেড় গুণ বাড়তি। বেশি আনা হয়েছে ছোলাও। মটর, মশুর আর খেজুর মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কম এলেও পৌঁছার অপেক্ষায় রয়েছে আরও। তবে সবচেয়ে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে ভোজ্যতেল নিয়ে। যা চাহিদার ৩ গুণের বেশি আমদানি হলেও অভিযোগ আছে কারসাজির। 

বিক্রেতারা জানান, কোম্পানিগুলো আমাদের পর্যাপ্ত তেল সরবরাহ করছে না। আর করলেও সেখানে তারা অন্য কোন পণ্য নিত্যে আমাদের বাধ্য করছে। বিক্রিও আগের থেকে কম। এ বিষয়ে ক্যাবের বিভাগীয় সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ভোজ্যতেল সংকটের মূল কারণ হলো, রিফাইনাররা বলছেন আমরা পর্যাপ্ত পণ্য ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছে দিয়েছি। এদিকে ডিস্ট্রিবিউটররা বলছেন তারা পণ্য পাননি। এখন প্রশ্ন হলো- তাহলে প্রতিদিনের যে উৎপাদিত পণ্য রয়েছে সেটি কোথায় গেলো। কারা এগুলো স্টক করে রাখছে আমাদের সেটি খুঁজে বের কতে হবে। 

দেশে পট পরিবর্তনে কিছু প্রতিষ্ঠান ভোগ্যপণ্য আমদানি করেনি। তবে পুরনোরা যেমন আমদানি বাড়িয়েছেন, তেমনি আমদানিকারকের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন নতুন অনেকেই। তারপরও পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় দুষ্টচক্র যাতে নয় ছয় করতে না পারে, তার জন্য নিবিড় নজরদারির বিকল্প নেই বলছেন এই ক্যাব সভাপতি। বিচ্ছিন্নভাবে নয়, বরং আমদানি বা উৎপাদন পর্যায় থেকে ভোক্তার হাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে তদারকি বাড়ানোর পাশাপাশি টিসিবির কার্যক্রম জোরদারের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন পর্যবেক্ষকরা।