প্রচ্ছদ সারাদেশ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকে ছাড়াতে থানায় ছাত্রদল নেতা

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকে ছাড়াতে থানায় ছাত্রদল নেতা

সারাদেশ: সাভারে অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে গ্রেপ্তার ছাত্র হত্যা মামলার দুই আসামি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকে মুক্তির তদবির করার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন মুন্সি এবং বিএনপির সাবেক এমপির ব্যক্তিগত সহকারীর বিরুদ্ধে। 

পুলিশ জানায়, সারা দেশে চলমান অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে আশুলিয়ার গাজীরচট আড়িয়াড়ার মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা ও যুবলীগের কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আশুলিয়ার গাজীরচট আড়িয়াড়ার মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের উপ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক সেলিম রেজা (২৫) ও যুবলীগের কর্মী সবুজ উদ্দিন খানকে (২৬) গ্রেপ্তার কর হয়। এদের মধ্যে সেলিম রেজা আশুলিয়া থানায় (মামলা নং-৪৩) হত্যাচেষ্টা ও সবুজ খান হত্যা মামলার (নং-২৬) আসামি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আশুলিয়া থানার একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) জানান, হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামিকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন মুন্সি আমাকে ফোন দিয়ে বেশ কয়েকবার অনুরোধ করেন। আমি ওনাকে জানাই তাদের ছাড়া সম্ভব নয়। গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকে জেল হাজতে পাঠানোর আগে তারা বলেন, আমাদের গ্রেপ্তারের পর আবুল হোসেন মুন্সি থানায় এসে আমাদের সাথে কথা বলে ছেড়ে দেয়ার জন্য ওসি সাহেবের কাছে সুপারিশ করে। পরে আমাদের বলছে কোনোভাবে ছাড়ানো যাবে না কিন্তু রিমান্ড ও মামলা নরম করতে কিছু করা যাবে। এরপর দেড় ঘণ্টা হলেও আবুল হোসেন মুন্সি আর দেখা করেননি। তারা আরও বলেন, বিএনপির সাবেক এমপি সালাউদ্দিন বাবুর পিএস শরীফুল ইসলাম তাদের খোঁজ নিয়েছেন এবং অনুরোধ করেছেন মামলা ধরণ পাল্টে দিতে, সেজন্যই আবুল হোসেন মুন্সি নিজে এসে তদবির করেছেন। 
তদবিরের বিষয়ে সাবেক বিএনপির সাংসদ সালাউদ্দিন বাবুর পিএস শরীফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কারো সাথে আমার কোন কথাও হয়নি। থানায় আরও একজন গ্রেপ্তার হয়েছে, সে আমাদের লোক। এখন নিজের লোকের বিষয়ে তো একটু কথা বলতেই হয়। তাদের আমি চিনি না।
তদবিরের বিষয়টি অস্বীকার করে আবুল হোসেন মুন্সি বলেন, আমি নিজস্ব একটা কাজের জন্য থানায় গিয়েছিলাম। থানায় গিয়ে জানতে পারি, আমার এলাকার দুটি ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে আমি ওদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করে চলে আসি। আপনি ওদেরকে ছাড়াতে না পেরে, মামলা হালকা বা যাতে রিমান্ড না হয় সে বিষয়ে তদবির করেছেন জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন। আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম সিদ্দিক বলেন, আমি আইনের মানুষ। আইন অনুসারে থানা চলবে। এ ব্যাপারে আমার কাছে কেউ আসে নাই, আসলেও লাভ নাই। আমি আইন অনুসারে কাজ চালিয়ে যাব।

সূত্র: কালের কণ্ঠ

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।