দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-১০ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন মো. আবদুল হালিম নামে এক প্রিজাইডিং অফিসার। তিনি ওই আসনের লালমাই উপজেলার অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদার মহিলা কলেজের প্রভাষক। তাঁর বাড়ি উপজেলার ভুলইন উত্তর ইউনিয়নের বড় চলুন্ডা।
গতকাল সোমবার বিকেলে লালমাই উপজেলার ভুলইন উত্তর ইউনিয়নের হাজতখোলা বাজারে অর্থমন্ত্রীর মেয়ে নাফিসা কামাল ও ছোট ভাই গোলাম সারওয়ার নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেন।
ওই প্রচারণার কিছু ছবি ও ১৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ফেসবুকে প্রচারিত ছবি ও ভিডিওতে প্রিজাইডিং অফিসার মো. আবদুল হালিমকে অর্থমন্ত্রীর কন্যার পাশে দেখা যায়। নীল রঙের চেক ব্লেজার ও কালো খয়েরি রঙের চেক শার্ট পরিহিত আবদুল হালিমের হাতে নৌকার লিফলেট ছিল তখন।
ভিডিওতে দেখা যায়, আবদুল হালিম প্রার্থীর কন্যাকে কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ওরা আমাদের দলের লোক।
’ একজন প্রার্থীর পক্ষে প্রশিক্ষণ নেওয়া একজন প্রিজাইডিং অফিসারের ভোট চাওয়ার খবরে উপজেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে আবদুল হালিম বলেন, ‘আমি গত ২২ ডিসেম্বর প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে ট্রেনিং নিয়েছি। গতকাল হঠাৎ আমার নিজ এলাকায় মন্ত্রীর মেয়ে এসেছেন গণসংযোগ করতে। তাই ওনার সঙ্গে প্রচারণা করতে হয়েছে।
এটা নিয়ে সমস্যা হলে আমি প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব ছেড়ে দেব।’
লালমাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আকতার হোসেন বলেন, ‘কলেজশিক্ষক আবদুল হালিম প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। একজন প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পেলে তাঁকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে সহকারী রির্টানিং অফিসার ও লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌমিতা দাশের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |