প্রচ্ছদ জাতীয় লেডি ফেরাউন হাসিনার আরেক ভয়ঙ্কর রূপ উন্মোচন, সর্বত্র তোলপাড়

লেডি ফেরাউন হাসিনার আরেক ভয়ঙ্কর রূপ উন্মোচন, সর্বত্র তোলপাড়

প্রবাদ আছে ‘সাপ হয়ে দংশন করে, ওঝা হয়ে ঝাড়ে’। কিন্তু রক্তপিপাসু ফ্যাসিস্ট হাসিনার সাথে এই প্রবাদের মিল খুঁজতে গেলে প্রবাদটিকে হয়তো আরও ভয়ঙ্করভাবে সম্পাদনা করতে হবে। গণহত্যাকারী সাবেক এই স্বৈরাচার সাপ হয়ে দংশন করেই ক্ষান্ত হননি, ওঝা বেশে যেন মৃত্যুও নিশ্চিত করেছেন।

লেডি ফেরাউন খ্যাত হাসিনার আরেক ভয়ঙ্কর রূপ উম্মোচন হতেই সর্বত্র তোলপাড় চলছে। ভারতীয় এই সেবাদাসীর হিংস্রতা ও নৃশংসতা যেন অতীত জালেম শাসকদের সকল রেকর্ড ভেঙে চলেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গাঁ শিওরে ওঠার কথা জানিয়েছেন নেটাগরিকরা।

জুলাই আন্দোলনে আহতদের খোঁজখবর নেয়ার নামে হাসিনার হাসপাতালে হাসপাতালে ছুটে যাওয়ার কথা সবারই মনে আছে। আহতদের দেখে সে ক্যামেরার সামনে কানতে কানতে বলেছিলো, স্বজন হারানোর বেদনা সে বোঝে। কিন্তু এই লোক দেখানো মায়া কান্নার আড়ালে যে তার ভয়ঙ্কর রূপ রয়েছে তা মানুষ ঠিকই ধারণা করেছিল। এবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তেও তা প্রমাণিত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আজ যে তথ্য জানালেন তাতে রীতিমত গাঁ শিওরে ওঠার কথা। স্বৈরাচার হাসিনা মানুষ রূপি যে ডাইনোসর ছিলেন তা উঠে এসেছে জুলাই গণহত্যার তদন্তে। পৃথিবীতে বহু অমানুষ এসেছে, ভবিষ্যতেও আসবে। তবে এই লেভেলের সাইকোপ্যাথ, হিংস্র আর মিথ্যুক পৃথিবীর ইতিহাসেই আর কখনও এসেছিলো কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা।

তাজুল ইসলাম বলেন, পতনের কিছুদিন আগে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গিয়ে চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার প্রমাণ প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিসের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা জানান তিনি।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) বা পঙ্গু হাসপাতালে যখন পরিদর্শনে গিয়েছিলাম তখন সেখানে চিকিৎসারত আহত রোগী ও তাদের স্বজনরা আমাদের জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে একবার হাসপাতাল পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে বলেছিলেন, ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’। অর্থাৎ কর্তব্যরত চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আহতদের কোনো চিকিৎসা না দিতে এবং কাউকে এখান থেকে বাইরে না যেতে দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিলো।’

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘রোগীদের পাশাপাশি এই নির্দেশাবলীর কথা সেখানকার ডাক্তাররাও আমাদেরকে জানিয়েছেন। এর তথ্য প্রমাণাদি আমাদের হাতে আছে, আমরা সেটাই আজ আদালতকে জানিয়েছি।’

নেটিজেনরা লিখেছেন, স্বৈরাচার হাসিনা মানুষ রূপি ডাইনোসর! মিশরের ফেরাউন পুরুষ ছিল আর ইতিহাসের মহিলা ফেরাউন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনাকে ঘৃণা করা বাংলাদেশের মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য,,। কত বড় অমানুষ এবং ওয়াইল্ড হলে এমন নির্দেশনা দিতে পারে!

সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে হতবাক হয়ে আব্দুর রকিব লিখেছেন, এতো খুন, এতো রক্তপাত! এতো অন্ধ! এতো পঙ্গু! তবু এতো বৃহৎ একটি দলের একজনেরও চোখে মুখে কোন আফসোস নেই! অনুশোচনা নেই!রক্তের দাগগুলো এখনো শুকায়নি। এরই মাঝে আরো খুন, আরো রক্তপাতের হুমকি-ধামকি! ক্ষমতার উন্মাদনা কতটা তীব্র হলে, খুনের তৃষ্ণা মেটে না!?অন্যায় করে লজ্জিত না হওয়াটা আরেক অন্যায়।

ফেসবুকে সাদিকুর রহমান খান লিখেছেন, জুলাই আন্দোলনে আহতদের দেখতে হাসিনার সেই হাসপাতালে যাওয়ার কথা মনে আছে?আহতদের দেখে সে ক্যামেরার সামনে কানতে কানতে বলেছিলো, স্বজন হারানোর বেদনা সে বোঝে।
অথচ ঐ দিনই ক্যামেরার সামনে এসব কান্নাকাটির নাটক করেছে আর তলে তলে ডাক্তারদের অর্ডার দিয়েছিলো যাতে কোন আহতকে চিকিৎসা বা রিলিজ না দেওয়া হয়।ওর এই নির্দেশের প্রমাণ এখন প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে।
পৃথিবীতে বহু অমানুষ এসেছে, ভবিষ্যতেও আসবে।বাট এই লেভেলের সাইকোপ্যাথ আর মিথ্যুক পৃথিবীর ইতিহাসেই আর কখনও এসেছিলো কি না, সেইটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।

আব্দুল্লাহিল আমান আজমী লিখেছেন, পলাতক প্রধানমন্ত্রী কতৃক সাম্প্রতিক বিপ্লবে আহতদের ব্যাপারে পলায়নের পূর্বে হাসপাতাল কতৃপক্ষকে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ নির্দেশ প্রদানের তীব্র নিন্দা জানাই। পৃথিবীর ইতিহাসে বহু ফ্যাসিবাদের ঘটনা সকলে জানেন। কিন্তু নব্য ফেরাউন পলাতক প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা পূর্বের সকল রেকর্ড ভংগ করেছে। পৃথিবীর শীর্ষ ফ্যাসিবাদ হিসেবে তার নাম ‘গিনিস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’ এ অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সবাই জোর দাবী জানান।

আরিফ আদনান লিখেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের আহতদের দেখতে, শেখ হাসিনা হাসপাতালে গিয়ে বলেছিলেন ” নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ”এই খবরে দেখলাম অনেকেই অবাক হচ্ছেন! বুকে হাত দিয়ে বলেন তো। আসলেও অবাক হইছেন? আপনার কি আগে থেকে ধারনা ছিলো না সে কতটা পিশাচ? কতটা ব্রুটাল? নাকি আপনি আসলেও ভাবতেন সে মানবতার মা!

এইচ এম আরিফ তুহিন লিখেছেন, এগুলো তার জন্য সাধারণ বিষয়। তার জন্য আনন্দদায়ক ছিলো মানুষের রক্ত দেখা। খুনগুম করাতে পারলে পৈশাচিক আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠতো। নুর নবী হোহেল লিখেছেন, যেখানে ইলিয়াস আলীকে মেরে তার মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে সান্তনা দিতে পারে। সেখানে এটা তো সামান্য ব্যাপার।

সূত্রঃ  ইনকিলাব 

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।