প্রচ্ছদ হেড লাইন প্রবাসী স্বামীর টাকা-স্বর্ণালংকার নিয়ে টিকটকার প্রেমিকের সঙ্গে উধাও স্ত্রী

প্রবাসী স্বামীর টাকা-স্বর্ণালংকার নিয়ে টিকটকার প্রেমিকের সঙ্গে উধাও স্ত্রী

হেড লাইন: রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে প্রবাসী স্বামীর টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে টিকটকার প্রেমিকের সঙ্গে উধাও হয়েছেন এক নববধূ। বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণবাড়ী গোয়ালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

থানায় করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণবাড়ী গোয়ালপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে মালয়েশিয়াপ্রবাসী মো. শাহ আলম হোসেনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ইসলামপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের মৃত রিয়াজ মণ্ডলের মেয়ের। বিয়ের কিছুদিন পর স্বামী শাহ আলম হোসেন স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে মালয়েশিয়ায় চলে যান। বিদেশে যাওয়ার বাড়ি করার জন্য স্ত্রীকে ৫ লাখ টাকা পাঠান। এদিকে স্বামী বিদেশে থাকার সুযোগে স্ত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টিকটকার ফারুকের সঙ্গে পরিচিত হন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেসেঞ্জারের মাধ্যমে তাদের নিয়মিত যোগাযোগ চলতে থাকে। প্রেমিক ফারুকের বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পিরব ইউনিয়নের সিহালী গ্রামে বলে জানা গেছে।

অভিযোগকারী মনির হোসেন বলেন, ‘গত ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার দিকে স্ত্রী তার মা ফরিদা বেগমের (৫০) সঙ্গে বাবার বাড়ি বেড়ানোর কথা বলে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের হন। পরে আর ফিরে আসেননি। পরে ওই দিন দুপুরে তাকে ফোন করলে ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাই। এরপর আমি শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে স্ত্রীর খোঁজ নিই। প্রথমে জানানো হয়, স্ত্রী বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে গেছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, সে খালার বাড়ি ঝিনাইদহে গেছে।

এরপর পরিবারের লোকজন তাকে ফেরাতে গেলে তারা জানতে পারেন, সে তার বাবার বাড়িতেও নেই। এ সময় স্বামী শাহ আলমের পরিবারের সন্দেহ হয় এবং ঘরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, নতুন বাড়ি নির্মাণের জন্য পাঠানো ৫ লাখ টাকা ও প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার (নেকলেস, গলার চেইন, হাতের রুলি, কানের দুল ও নাকফুল) নিয়ে রিয়া পালিয়ে গেছে। ঘটনার পর গত ১১ ফেব্রুয়ারি তার চাচিকে ফোনে বিষয়টি জানানো হলে এক সপ্তাহের মধ্যে রিয়াকে হাজির করার আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে দীর্ঘদিন পার হলেও কোনো খোঁজ না পাওয়ায় শাহ আলমের বড় ভাই মনির হোসেন বালিয়াকান্দি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জামাল উদ্দিন জানান, অভিযোগটি পাওয়ার পর একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তকে উদ্ধারের কাজ চলছে।

সূত্র: Kaler Kantho

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।