
ফেসবুক-ইউটিউব সেলিব্রেটি কন্টেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফির বাড়ীতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার চাঞ্চল্যকর ঘটনার প্রধান আসামী ও মূল পরিকল্পনাকারী নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রসংগঠনের কর্মী শাহাদাত হাওলাদার (২২) ও তার সহযোগী মাহফুজ মোল্লা (২১)কে গ্রেফতার করেছে পটুয়াখালী পুলিশ।
গতকাল বিকেলেপটুয়াখালী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো: আনোয়ার জাহিদ এক সংবাদ সম্মেলনে তার লিখিত বক্তব্যে জানান,গতমাসে ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভেঙ্গে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় ফেসবুক ও ইউটিউবে নুরুজ্জামান কাফি বিভিন্ন কন্টেন্ট তৈরী করে যা দেখে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রসংগঠনের কর্মী শাহাদাত হাওলাদার ও তার সহযোগী মাহফুজ মোল্লা কাফির প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে তার বসতঘর পুড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করে।বরিশালের একটি কলেজের অর্থনীতি (সম্মান)এর ছাত্র মূল পরিকল্পনাকারী শাহাদত ও তার সহযোগী ডিগ্রীতে অধ্যয়নরত মাহফুজ মোল্লাকে নিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারী বরিশাল থেকে রাতে পটুযাখালী জেলার পাশ্ববর্তী বরগুনা জেলার ঢাকা-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের বান্দুরা স্ট্যান্ডে নামে।সেখান থেকে খোলা বাজারে বিক্রয়কৃত ৫ লিটারের একটি খালি বোতলে ৫০০ টাকার ডিজেল কিনে ভাড়া মটর সাইকেলে করে কাফির বাড়ী কলাপাড়া উপজেলার রজপাড়া এলাকায় যায়। পরবর্তীতে গভীর রাতে সুযোগ বুঝে কাফির বাবার বসতঘর,রান্না ঘরের দেয়াল চালে ,কাঠে ও টিনের বিভিন্ন জায়গায় ডিজেল ছিটিয়ে দিয়ে শাহাদত ম্যাচ দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে নিজেদের মোবাইলে ভিডিও ধারন করে মটর সাইকলে নিয়ে দ্রুত ঘটনা স্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে এ ঘটনায় ১৩ ফেব্রুয়ারি কলাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশের একাধিক টিম
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য কাজ শুরু করেন। পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো: আনোয়ার জাহিদের তদারকিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো: সাজেদুল ইসলাম সজল এর নেতৃত্বে থানা জেলা গোয়েন্দা শাখার যৌথ অভিযানে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগহ পূর্বক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় উক্ত অগ্নি কান্ডের ঘটনার মূল আসামী পরিকল্পনাকারী মো: শাহাদত হাওলাদারকে বরিশাল থেকে এবং অপর সহযোগী মো: মাহফুজ মোল্লাকে পটুযাখালী সদর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এ দিকে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হওয়ায় পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো: আনোয়ার জাহিদ সহ তার টিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন,আজ আমি এতিম থাকতাম মানুষ হত্যা তাদের প্ল্যান ছিল,একটি বাড়ীতে বাহির থেকে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার মত বর্বর ঘটনা তারা ঘটিয়েছে।আজ আমি এতিম থাকতাম,সরকারের কাছে আমার নিরাপত্তার আবেদন সহ ঘটনার সাথে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করছি। আমি ধানমন্ডী ৩২ এ ছিলাম ,জুলাই আগষ্ট আন্দোলনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রন্টে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি আসামীরাতো স্বীকোরোক্তি দিয়েছে কাফি ধানমন্ডী জালিয়েছে তাই তার বাড়ী আমরা জালিয়ে দিয়েছে।
পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো: আনোয়ার জাহিদ বলেন,আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনাটি যেরকম চাঞ্চল্য সৃরি পাশাপশি নৃশংসতার পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে,আমরাও এ ধরনের ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছি। পাশাপশি এ ঘটনায় কোন ইন্ধনদাতা ,সহায়তাকারী বা অর্থ যোগানদাতা যেই জড়িত থাকুক তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সূত্র: ইনকিলাব
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |