প্রচ্ছদ সারাদেশ বিবিসির চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট; মোদি দোভালের সঙ্গে গোপন মিটিং করছেন হাসিনা

বিবিসির চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট; মোদি দোভালের সঙ্গে গোপন মিটিং করছেন হাসিনা

সারাদেশ: দিল্লির গরম বাতাস যেন ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়েছে। ভারী পর্দা টানা একটি রুমে কোণে বসে আছেন শেখ হাসিনা, সামনে ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপ। তার মুখে কোনো অনুশোচনা নেই, বরং চোখে-মুখে এক অদ্ভুত আত্মবিশ্বাসের আভা। বিপরীত দিকে সোফায় বসে থাকা ব্যক্তিটি সন্তুষ্ট চোখে তাকিয়ে আছেন হাসিনার দিকে। এই ব্যক্তি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, যিনি ভারতের হিন্দুত্ববাদীদের কাছে দেবতাস্বরূপ এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড। ২৬ ফেব্রুয়ারির রিপোর্টে বলা হয়, এই ধরনের প্রতিবেদন কেবল কল্পনার খেলা নয়, বরং এটি গভীর বিশ্লেষণের ফল। এর সত্যতা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। যদিও অনেক সময় সত্য পুরোপুরি জানার সুযোগ পাওয়া যায় না, তবে সেই সত্য কখনো না কখনো সামনে চলে আসে। এবার তা সামনে এসেছে—বিবিসি জানিয়েছে, মোদি ও ডোভালের সঙ্গে শেখ হাসিনার গোপন বৈঠক হয়েছে। এমন বৈঠক সাধারণত রাজনৈতিক নির্বাসিতরা একাধিক কূটনৈতিক ও বিশেষ ব্যক্তির সঙ্গে করেন, কিন্তু শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। দিল্লির কূটনৈতিক সাংবাদিক নয়নীমা বসু বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, তারা নিশ্চিত হয়েছেন যে, মোদি ও ডোভাল কেবল শেখ হাসিনার সঙ্গে বিশেষ পরিস্থিতিতে বৈঠক করেন, যখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন হয়।

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন অনুসারে, শেখ হাসিনার সঙ্গে মোদি ও ডোভালের বৈঠক অত্যন্ত গোপনীয়। ভারত এই আলোচনা জনসম্মুখে প্রকাশ করতে চাইছে না, কারণ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এসব বৈঠকে আলোচিত বিষয়গুলো শুধুমাত্র দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য নয়, বরং পুরো অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু মন্তব্য না করলেও, তারা শেখ হাসিনার প্রতি বিশেষ সহানুভূতি দেখাচ্ছে এবং তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়। হাসিনা কেবল একজন নির্বাসিত নেতা নন, বরং ভারতীয় স্বার্থের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হয়ে উঠেছেন। ভারতীয় ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায়, শেখ হাসিনার উপস্থিতি তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বিকল্প কোনো নেতৃত্ব খুঁজে পাওয়া কঠিন।

বিবিসি বাংলার বিশ্লেষণে আরও বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা ভারতের স্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত। তার অবস্থান শুধুমাত্র ব্যক্তিগত নয়, বরং এটি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের গতিপথ নির্ধারণ করতে পারে। দিল্লির আকাশে কালো মেঘ জমে উঠেছে। ঘরের আলো নরম, তবে টেবিলের চারপাশে বসা লোকদের চোখে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি। ডোভাল বললেন, “বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের ধারণা অনেক বেশি স্মার্ট। ভারতীয়দের যা বোঝানো যায়, বাংলাদেশীদের ক্ষেত্রে তা সহজ নয়।” মোদি নীরবে তাকিয়ে রইলেন, তারপর ধীরে বললেন, “তোমার পরিকল্পনা কী?” ডোভাল গভীর চিন্তায় ডুব দিলেন, তারপর বললেন, “আমাদের বাজেট বাড়াতে হবে, বাংলাদেশের মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে, যাতে সত্য আড়াল করা যায়।”

এই গোপন বৈঠকের একটি বিশেষ মুহূর্তে, হাসিনা কক্ষে প্রবেশ করলেন। তার মধ্যে এক চাপা উত্তেজনা দেখা গেল। তিনি বললেন, “সময় ফুরিয়ে আসছে, সিদ্ধান্ত নিতে হবে।” মোদি টেবিলে রাখা ফাইলের দিকে তাকিয়ে বললেন, “সব সিদ্ধান্ত তো আগেই নেওয়া হয়েছে, এখন শুধু বাস্তবায়ন বাকি।” ঘরের বাতাস যেন স্থির হয়ে গেল, ফাইলের পাতাগুলো ধীরে ধীরে উল্টাতে থাকল। সময়ের চাকা চলতে থাকলেও, কে বিজয়ী হবে, তা কেউ জানে না।

সূত্র: News24

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।