
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছরের সেই শিশুটির মা জানিয়েছেন, ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন তার মেয়ে নড়াচড়া করছে না। মেয়েটির অবস্থা সংকটাপন্ন। মঙ্গলবার সমকালকে মোবাইলকে এ কথা বলেন তিনি।
শিশুর মা সমকালকে বলেন, ‘মেয়ের অবস্থা ভালো না। আজও সে নড়াচড়া করছে না। তাকে আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি। সবার কাছে দোয়া চাই।’ ধর্ষণে জড়িতদের ফাঁসি দাবি করেন তিনি।
এদিকে শিশুটিকে ধর্ষণের মামলার তিন আসামির ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মঙ্গলবার মাগুরা কারাগার থেকে তিনজনকে ঢাকার মালিবাগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) নিয়ে আসে পুলিশ। এরপর ডিএনএ ম্যাচিংয়ের জন্য ফরেনসিক বিভাগ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
আসামিরা হলেন- শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখ, বোনের স্বামী সজিব শেখ ও ভাশুর রাতুল শেখ।
এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে ফাঁসির দাবিতে মঙ্গলবার মাগুরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দিয়েছে ছাত্র-জনতা। দুপুরে স্থানীয় সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে একটি মিছিল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এখানে বিক্ষোভ সমাবেশ বক্তারা বলেন, ‘অবিলম্বে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টা মামলার তদন্ত এবং বিচারিক কার্যক্রম শেষ করতে হবে। দেশের সব ধর্ষণের বিচারকার্য শেষ করতে হবে, বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘যদি সুষ্ঠু বিচার হয় তাহলে ভবিষ্যতে কেউ আর এমন কাজ করবে না।’
এর আগে, গত রোববার রাতে আদালত বসিয়ে চার আসামির রিমান্ড শুনানি হয়। শুনানি শেষে হিটুর সাত দিন ও অপর তিনজনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মাগুরা সদর থানার ওসি আইয়ুব হোসেন জানান, মঙ্গলবার ভোরে পুলিশ কারাগার থেকে আসামিদের ঢাকায় সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে গেছে।
সম্প্রতি বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছরের শিশুটি। ঢাকা সিএমএইচে তার চিকিৎসা চলছে।
সূত্রঃ সমকাল
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |