
পুত্রসন্তান লাভের জন্য সহবাসের সময় কি কোনো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি রয়েছে? এমন একটি প্রশ্নের উত্তরে ডা. তাসনিম জারা বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তিনি এক্ষেত্রে প্রাচীন ফ্রান্সের একটি বিশেষ উদাহরণ তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, প্রায় ২০০-২৫০ বছর আগে ফ্রান্সের উচ্চবর্ণীয় পরিবারগুলোর পুরুষরা তাদের বাঁদিকের অণ্ডকোষ বেঁধে রাখতেন অথবা এমনকি সেটি কেটে ফেলতেন। তাদের এই পদক্ষেপের পেছনে একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ছিল, যা তখনকার সময়ে বেশ জনপ্রিয় ছিল। ধারণা করা হতো যে পুরুষের দুটি অণ্ডকোষের কাজ আলাদা। সাধারণত ডান দিকের অণ্ডকোষ বড় হয়ে থাকে এবং এই অণ্ডকোষ থেকে পুত্রসন্তান হয়, আর বাঁদিকের অণ্ডকোষ থেকে কন্যাসন্তান হয়। তাই, তারা বাঁদিকের অণ্ডকোষ কাটিয়ে ফেলতো বা বেঁধে রাখতো, যাতে পুত্রসন্তান লাভ সম্ভব হয়।
এছাড়া, ওই সময়ে এক বিজ্ঞানী তার বইয়ে এমন একটি মতামত প্রকাশ করেছিলেন যে, অণ্ডকোষ কাটা একটি সহজ অপারেশন এবং এতে তেমন কোনো ব্যথা হয় না, যেমন দাঁত ফেললে হয়। তার মতে, এটি পুত্রসন্তান লাভের একটি কার্যকর পদ্ধতি হতে পারে।
অন্যদিকে, যারা অণ্ডকোষ কাটানোর সাহস পেতেন না, তাদের জন্য ওই বিজ্ঞানী আরেকটি পদ্ধতি পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, স্ত্রীরা সহবাসের পর একপাশে কাত হয়ে শুয়ে থাকলে, তাদের ডিম্বাশয়ের একপাশ থেকে ছেলে এবং অন্যপাশ থেকে মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। অতএব, তারা যে লিঙ্গের সন্তান চায়, সেই দিক দিয়ে কাত হয়ে শুয়ে থাকতে বলেছিলেন।
এখনকার যুগে এসব পদ্ধতি হাস্যকর মনে হলেও, তখনকার সময়ে এই ধারণাগুলি বেশ জনপ্রিয় ছিল। ওই বিজ্ঞানীর বইটির নাম ছিল ‘দ্য আর্ট অফ হেভিং বয়েস’ (The Art of Having Boys), যা সেই সময় অনেক বিক্রি হয়েছিল।
আজকের দিনে, যদি কেউ আপনাকে পুত্রসন্তান পাওয়ার জন্য কোনো অদ্ভুত পদ্ধতির কথা বলেন, তবে সেগুলো এড়িয়ে চলা উচিত। এর ফলে অর্থ, সময় এবং শারীরিক ক্ষতি হতে পারে। আসলে, ছেলে বা মেয়ে সন্তান জন্মের বিষয়টি পুরোটাই স্রষ্টার ইচ্ছার উপর নির্ভর করে এবং এতে মানুষের ইচ্ছার কোনো ভূমিকা নেই।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |