প্রচ্ছদ আর্ন্তজাতিক রাতভর ভূমিকম্প; ক্ষতিগ্রস্ত ভবন, আতঙ্কে রাস্তায় মানুষ

রাতভর ভূমিকম্প; ক্ষতিগ্রস্ত ভবন, আতঙ্কে রাস্তায় মানুষ

আর্ন্তজাতিক: ইতালির ন্যাপলেস শহরে ৪.৪ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) আঘাত হানা এ ভূমিকম্পে অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আতঙ্কে মানুষজন গভীর রাতে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। খবর রয়টার্স

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১টা ২৫ মিনিটের দিকে ন্যাপলেসের পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর পোজুওলিতে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। ইতালির জাতীয় ভূতাত্ত্বিক ও আগ্নেয়গিরি ইনস্টিটিউট (আইএনজিভি) এ তথ্য জানিয়েছে। গত বছরের মে মাসে এই অঞ্চলে একই মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। ১৯৮০ সালের পর এটাই শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল। দীর্ঘ সময় ধরে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া ভবনও ভেঙে পড়ে।

ক্যাম্পি ফ্লেগ্রেই সুপার আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি জনবহুল এলাকায় প্রায়ই ছোট ছোট ভূমিকম্প অনুভূত হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতের ভূমিকম্পটি ছিল কয়েক বছরের মধ্যে শক্তিশালী। রাফায়েলে চিপোলানো নামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমি ঘুমিয়ে ছিলাম, হঠাৎ করে একটা ভয়ানক শব্দ শুনলাম, আমি কখনো এত জোরে শব্দ শুনিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটা ছিল খুবই ভয়াবহ মুহূর্ত। কম্পনের সঙ্গে সঙ্গে ঘুম থেকে উঠে লাইট জ্বালিয়ে দেখি আমার ঘরে একাধিক ফাটল ধরেছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জরুরি উদ্ধারকারী দল একটি আংশিক ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ি থেকে একজনকে উদ্ধার করেছে। এই অঞ্চলে কয়েকবার আফটার শখ অনুভূত হয়েছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ভূমিকম্পের ফলে অনেকে ভয়ে ন্যাটোর সাবেক একটি ঘাঁটিতে আশ্রয় নেয়ার জন্য জোর করে এর গেট খুলে ফেলে। এছাড়া ন্যাপলেসের অনেক স্থানে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আরও ভূমিকম্প হতে পারে এমন আশঙ্কার কারণে অনেক পরিবার রাতে বাইরে গাড়ির মধ্যে আশ্রয় নেন।

ইতালিতে ভূমিকম্প একটি স্বাভাবিক ঘটনা। ন্যাপলেস সংলগ্ন অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পটি হয়েছিল ১৯৮০ সালের নভেম্বর মাসে ইরপিনিয়া এলাকায়। যার মাত্রা ছিল ৬.৯। ওই ভূমিকম্পে প্রায় ২ হাজার ৭৩৪ জন মানুষ প্রাণ হারায়। এছাড়া আহত হয় ৮ হাজার ৮০০ এর বেশি মানুষ এবং ৩০০ এর বেশি বাড়িঘর পুরোপু ধ্বংস হয়ে যায়।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।