
স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ২২ দিন জেল খেটেছেন স্বামী আনোয়ার হোসেন। এমনকি নিজেকে ধর্ষিতা প্রমাণ করতে ডাক্তারি পরীক্ষাও করেছেন স্ত্রী ইসমত আরা যিনি ঢাকা মেডিকেলে তিন দিন ভর্তি থেকেছেন। ২২ দিন পর জামিনে বেরিয়ে আবার সেই স্ত্রীর সাথে বসবাস করছেন আনোয়ার হোসেন। মামলার কি হবে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে কিসমত আরো বলেন আমি মামলা প্রত্যাহার করে নেব। তবে স্বামী আনোয়ার হোসেন বলেন আমি এই মামলা চালিয়ে যেতে চাই। স্বামী আনোয়ার হোসেন একটি সাক্ষাৎকারে বলেন অপহরণকারী এবং ধর্ষক নামে আমাকে এখন সবাই চিনছে। ফ্ল্যাটটি আমার স্থায়ী ঠিকানা, কিন্তু সেখানে আমি এখন মুখ দেখাতে পারছি না।
অনুসন্ধানে নিজের স্বামীকে ধর্ষক প্রমাণ করতে যাওয়া ইসমত আরা ইতির প্রতারণার সকল কৌশল ধরা পড়েছে। কয়েকজন পুলিশ সদস্য এবং ইতির বড় বোন যূথির সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় এই ঘটনায়। এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন হাতিরঝিল থানা পুলিশের বাহিরের অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অথচ তিনি ক্যামেরায় নিজেকে অসহায় বলে দাবী করেন। পুলিশকে সাহায্য করতে ইতি নিজেই দরজা খুলে নিজের প্রথম ঘরের সন্তানকে নিয়ে বেরিয়ে আসেন। এরপর আবার ঘরে ঢুকে নিজেকে ধর্ষিতা বানানো নাটক করেন। তখন সেটি ভিডিও করতে সাহায্য করেন হাতিরঝিল থানার এক পুলিশ সদস্য। হাতিরঝিল থানায় যোগাযোগ করলে জানা যায় এই পুলিশ সদস্য ইতি পরিবারেরই সদস্য। তবে ইতির পরিবার এই ব্যাপারটি সম্পুর্ন অস্বীকার করেছেন, এমনকি তার নাম সাক্ষীতেও রাখা হয়নি।
তাদের অভিযোগ, প্রথম স্বামীর জমি সংক্রান্ত মামলায় এসআই রাজিব এর সাথে পরিচয় হয় ইতির। ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন তারা রাজিবের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা ঠেকাতে স্বামী এবং স্ত্রীর কলহের সুযোগ নিয়ে স্বামীকেই ধর্ষক বানানোর নাটক সাজিয়েছে পুলিশ। তবে যাত্রাবাড়ী থানার এসআই রাজিবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং বলেন ইতি বারবার তাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
সূত্র: দৈনিক জনকন্ঠ
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |