
মাগুরার শিশু আছিয়ার ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি হিটু শেখ সম্পর্কে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই নির্মম ঘটনার পর পুরো দেশ ক্ষোভে ফুঁসছে, লজ্জিত হিটু শেখের নিজ এলাকার মানুষও। তার প্রতিবেশীরা পর্যন্ত অভিযুক্তদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, হিটু শেখ দীর্ঘদিন ধরেই নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। নারীদের উত্ত্যক্ত করা, অশালীন আচরণ করা—এসব অভিযোগ তার বিরুদ্ধে বহুবার উঠেছে। সালিশ বৈঠকেও তার বিচার হয়েছে, তবে তাতেও কোনো পরিবর্তন আসেনি।
এলাকাবাসীরা বলেন, অতীতে একাধিকবার তাকে সতর্ক করা হয়েছিল, কিন্তু সে কখনোই শোধরায়নি। এমনকি তার নিজের পরিবারের নারী সদস্যরাও তার অনৈতিক কার্যকলাপের শিকার হয়েছেন। প্রতিবেশীরা জানান, তার জন্য তাদের নিজেদের মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে সবসময় আতঙ্কে থাকতে হতো। তারা হিটু শেখ ও তার পরিবারের সঙ্গে ভবিষ্যতে একই এলাকায় বসবাস করতে চান না।
চার মাস আগে আছিয়ার বড় বোনের বিয়ে হয় হিটু শেখের ছেলের সঙ্গে। সেই সূত্রেই আছিয়া তার বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। ৫ মার্চ রাতে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। বড় বোন জেগে উঠে দেখেন, আছিয়া অসুস্থ অবস্থায় পড়ে আছে। শিশুটি জানান, তার শ্বশুর তাকে ধর্ষণ করেছে এবং মুখ চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করেছে।
পরদিন সকালেও আছিয়ার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। পরিবারের লোকজন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে এবং প্রতিবেশীদের বিভ্রান্ত করতে বলে, শিশুটিকে ‘জিনে ধরেছে’। তবে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা ঘটনা বুঝতে পারেন এবং পুলিশে খবর দেন।
শিশুটির মা বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন:১. ভগ্নিপতি সজীব (১৮)২. সজীবের ভাই রাতুল (১৭)৩. তাদের বাবা হিটু শেখ (৪২)৪. মা জাবেদা বেগম (৪০)
তারা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত করে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |