মুম্বাই শহরের আনাচে কানাচে ‘শি’ ওয়েব সিরিজের শুটিং করেছিলেন অদিতি পোহানকার। এতে তুলে ধরা হয়েছিল রাতের মুম্বাই শহরের চিত্রও। সিরিজটির কারণে সাড়াও পেয়েছিলেন অভিনেত্রী। মুম্বাই শহরের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দু’টি ঘটনার কথা তুলে ধরেছেন অদিতি। তিনি বলেছেন, ‘আমার সঙ্গে দুটি ঘটনা ঘটেছে। আমার মা শিক্ষিকা ছিলেন। আমাদের আবাসন থেকে একটা বাস পেতাম। সেই বাসেই স্কুলে যেতাম। কিন্তু পঞ্চম শ্রেণির পরেই বলা হয়, রাস্তা থেকে বাসে উঠে স্বাধীনভাবে আসতে।’ একদিন বাসে উঠেই ভয়ানক অভিজ্ঞতা হয়েছিল তার। সঙ্গে ছিল তার মায়েরই এক ছাত্র।
অদিতি তাকে দাদা বলে ডাকতেন। সেই ছেলেটি বাসে উঠে বসার পরে নিজের কোল থেকে ব্যাগ সরিয়ে গোপনাঙ্গ দেখতে বলেছিল অদিতিকে। তবে অভিনেত্রী চুপ থাকেননি। অদিতি বলেছেন, ‘প্রথমে আমি হাসি। কিন্তু ওর চোখের দিকে তাকাতেই বুঝি, উদ্দেশ্য ভালো না।
সঙ্গে সঙ্গে ওঠে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলি, এই লোকটা আমাকে খারাপ কিছু দেখাচ্ছে। ও চমকে গিয়েছিল। প্যান্টের চেন আটকাতেও ভুলে গিয়েছিল। ওর প্যান্ট তখন প্রায় খুলে যাওয়ার অবস্থা। সেই অবস্থাতেই চলন্ত বাস থেকে লাফ দিয়েছিল।’ অদিতির প্রতিবাদের কথা শুনে তার মা পিঠ চাপড়েছিলেন।
আরেকটি ঘটনা মুম্বাইয়ের লোকাল ট্রেনে। স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়তেই যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন অভিনেত্রী। স্কুল পোশাক পরা এক ছেলে মহিলা কামরায় ওঠে অদিতির পাশে দাঁড়ায়। তার কথায়, ‘স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ার পরেই আমার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়েছিল।’ এর পর পরের স্টেশনেই নেমে যান অদিতি। পুলিশকে ঘটনা জানাতেই তারা প্রমাণ চান। সেই ছেলেটি বয়সে অদিতির চেয়ে ২-৩ বছরের ছোট ছিল। পুলিশ ছেলেটিকে প্রশ্ন করতেই সে অস্বীকার করে। তখন অদিতি নিজেই মারতে যান। বেগতিক দেখে ছেলেটি ক্ষমা চেয়ে পুরো ঘটনা স্বীকার করে।
সুত্র: কালের কণ্ঠ
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |