
হেড লাইন: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান (এসি মিজান)। রোববার (১৬ মার্চ) সকালে ফেসবুকে নিজের আইডিতে এই পোস্ট করেন তিনি।
মিজানুর রহমান মতলব উত্তর উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের সানকিভাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুর রব চৌধুরীর ছেলে। মিজানুর রহমানকে এলাকায় এসি মিজান হিসেবে পরিচিত। তিনি খুলনা কলেজ ছাত্রলীগ থেকে রাজনীতি শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি মতলবে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক দায়িত্বের শেষে মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন। মিজানুর রহমান একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। মিজানুর রহমানের ফেসবুকের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো
‘প্রিয় ভাইয়েরা আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ভবিষ্যতে কোনো দলেরই রাজনীতি করবো না। কারণ আমার চরিত্রে দলীয় রাজনীতি মানায় না। আমি দলমত সকল সাধারণ জনগণের সাথে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। বিগত ৩০ বছর মতলবের মানুষের পাশে থেকেছি মহান আল্লাহ তায়ালা যতটুকু তৌফিক দিয়েছে ততটুকু করেছি। আমি মানুষের উপকার করতে ভালোবাসি। ৩০ বছরে ১জন মানুষকে না বলতে পারি নাই যে দল বা যে গ্রুপই হোক না কেন। আজ থেকে আমার পরিবার শান্তি পাবে। মহান আল্লাহর রহমতে জীবনে কখনও দল বিক্রি করতে হয় নাই। দোয়া করি তৃণমূলের কর্মীরা ভালো থাকুক। তবে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আমার মনের কথাগুলি লিখে যাব। দেশকে ও দেশের মানুষকে ভালোবাসি। মহান আল্লাহ সকলকে হেফাজত করুন। আমিন’
কমেন্ট বক্সে তিনি আরও লিখেন, ‘চিন্তা করে দেখলাম যাই লিখি কোন না কোন দলের বাহিরে যায় তখন অন্য দলের কর্মীরা স্বৈরাচারের দলের লোক বলে আবার কিছু সময় আওয়ামী লীগের লোকদের কিছু পোস্ট ভালো লাগে না ওদের বদসাহস হয় আমাকে অন্য দল করার ইচ্ছা আছে ভাবতে। কোন দল না করলে লিখতে সুবিধা হবে। আর বিশেষ করে আওয়ামী লীগের কিছু কর্মীরা আমার লেখার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে। বারবার পদত্যাগ করে লিখতে উপদেশ দেয়।’
‘আমি আগে যেমন ছিলাম তেমনই থাকবো নিরীহ নিরপরাধ বিপদগ্রস্তদের পাশে। ইনশাআল্লাহ । এতে দল করার দরকার নাই। আওয়ামী লীগের কর্মীর ও মতলব বাসী অসুবিধা নাই।’
আলম শামসুজ্জামান নামে ওই পোস্টে কমেন্ট করেন, ‘রাজনীতির বাহিরেও আপনি আমার প্রিয় এবং ভালোবাসার মানুষ হিসেবেই থাকবেন ভাই। তবে কিছু মন্দ লোকের কথায় আপনার এরকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে কেন ভাই? যে বা যারা আপনাকে নিয়ে লিখে মতলবে তাদের গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু তা প্রশ্ন থেকেই যাবে। আপনার সিদ্ধান্তকে অবশ্যই সম্মান জানাই। তবে মতলবের মানুষের জন্য আপনি রোল মডেল হিসেবেই থাকবেন। সেটা জনতার এসি মিজান হোক বা রাজনীতিবিদ এসি মিজান। আপনি মতলব আপামর জনসাধারণের মনে ছিলেন আছেন এবং থাকবেন ইনশাআল্লাহ।
রাফি উল্ল্যা সিয়াম নামে আরেকজন কমেন্ট করেন, ‘মতলবের রাজনীতি থেকে আরেক নক্ষত্রের বিদায়। দোয়া করি আল্লাহ যেন আপনাকে সুস্থ রাখেন এবং দীর্ঘজীবী করুক আমিন। তবে এটা ঠিক, ভালো কাজ করতে কোন দল করা লাগে না।’
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |