
জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণরা এতোদিন জাতীয় নাগরিক কমিটি নামে এক প্ল্যাটফর্ম নিয়ে এগুলেও দিন যতো গড়াচ্ছে ততোই স্পষ্ট হচ্ছে তাদের ভাঙন। জাতীয় নাগরিক কমিটি রাজনৈতিক দলে পরিনত হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে আলোচনায় আসে তাদের বিরোধ। সাবেক শিবির দাবি করে জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রথম সারিতে থাকা কয়েকজনকে রাখা হয়নি জাতীয় নাগরিক পার্টির উল্লেখযোগ্য পদে। এ নিয়েই ক্ষোভ দেখিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে সরে দাঁড়ান সাবেক শিবির নেতাদের ওই অংশটি।
এবার তাদের নেতৃত্বেই আসতে যাচ্ছে নতুন রাজনৈতিক দল। যার ঘোষণা হতে পারে আগামী এপ্রিলেই। এই দলের নেতৃত্বে থাকছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সংগঠক আলী আহসান জুনায়েদ।
শনিবার (১৬ মার্চ) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টের মাধ্যমে নতুন দল গঠনের কথা জানান ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ শক্তির নতুন প্লাটফর্মের প্রধান উদ্যোক্তা আলী আহসান জুনায়েদ। তিনি এর আগে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ও সংগঠনটির কেন্দ্রীয় স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক।
ফেসবুক পোস্টে আলী আহসান জুনায়েদ লিখেছেন, আসসালামু আলাইকুম। ৩৬শে জুলাই ফতহে গণভবনের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক নতুন যুগের সূচনা হলেও, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বহু মানুষের কাছে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।
পিলখানা, শাপলা ও জুলাই গণহত্যার মতো ভয়াবহ অপরাধের বিচার, ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ, দুর্নীতিমুক্ত সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামো নির্মাণ, ধর্মবিদ্বেষ ও ইসলামোফোবিয়ামুক্ত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ গঠন, ফ্যাসিবাদী কাঠামোর সম্পূর্ণ বিলোপ এবং আধিপত্যবাদের বিপক্ষে কার্যকর অবস্থান—এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আজ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে গৌণ হয়ে পড়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের স্বীকৃতি ও সম্মান দেওয়ার কাজ এখনও অসম্পূর্ণ রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে, আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা গণঅভ্যুত্থানের দাবিগুলো প্রকৃতই বাস্তবায়ন করতে চাই।
৩৬শে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশে যে বিপ্লবের সূচনা হয়েছে, তা পূর্ণতা দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সমাজের সর্বস্তরে যোগ্য ও নৈতিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, সামাজিক সুবিচার ও মানবিক মর্যাদা নিশ্চিতকরণ, সামাজিক নিরাপত্তা বিধান, বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার মূলোৎপাটন এবং আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারলে এই বিপ্লব পরিপূর্ণতা পাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
আমরা বিশ্বাস করি, নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সামাজিক চুক্তির ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুনর্গঠন সম্ভব।
অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশ পুনর্গঠনের এই উদ্যোগে আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানাই। আসুন, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গঠনের এই সংগ্রামে শামিল হই।
সূত্র: বাংলাভিশন
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |