
মাগুরার জারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র সায়েম। তার বয়স আট বছর। ঠিক আছিয়ার সমবয়সী, তবে সায়েম এক মাসের বড়। স্কুলের বন্ধু হিসেবে তারা একসঙ্গে পড়াশোনা করত, খেলাধুলা করত, হাসত, দৌড়াদৌড়ি করত।
সায়েমের চোখেমুখে এখন শুধুই শূন্যতা, আছিয়াকে হারানোর বেদনা।
“আছিয়া খুব হাসিখুশি ছিল, তাই না?”
“হ্যাঁ।” “ও খেলাধুলা করত?”
“হ্যাঁ, আমরা একসঙ্গে খেলতাম।”
“কি কি খেলতে?”
“দৌড়াদৌড়ি, লুকোচুরি, আরও অনেক কিছু।”
আছিয়া শুধু একজন ভালো বন্ধু ছিল না, সবার প্রিয় ছিল। শিক্ষকরা তাকে ভালোবাসতেন, বন্ধুরাও তাকে পছন্দ করত।
“তুমি আছিয়াকে কেমন পছন্দ করতে?” “বোনের মতো, বন্ধুর মতো।”
আছিয়ার নির্মম পরিণতি নিয়ে যখন কথা ওঠে, তখন সায়েম একদম চুপ। তবে সে চায়, যারা আছিয়ার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে, তারা যেন কঠোর শাস্তি পায়।
“তুমি কি চাও, যারা খারাপ কাজ করেছে, তারা শাস্তি পাক?” “হ্যাঁ, আমরা চাই তারা ফাঁসি পাক।”
সায়েমের মতো শিশুদের নিরাপত্তার জন্য সবাইকে সচেতন করতে হবে। তাকে শেখানো হয়, “যদি কেউ তোমার গায়ে হাত দেয়, চুমু খেতে চায়, বা খারাপ কিছু করে, সঙ্গে সঙ্গে বাবা-মাকে জানাবে, ঠিক আছে?”হ্যাঁ।”
আছিয়াকে হারিয়ে শুধু তার পরিবার নয়, তার বন্ধুরাও আজ শোকে কাতর। সায়েম শুধু একটাই প্রার্থনা করে— “আছিয়া যেন আবার ফিরে আসে, সুস্থ হয়ে হাসতে পারে, খেলতে পারে।”
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |