
হেড লাইন: ফ্যাসিস্ট হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ সেলিমের দুর্নীতির চিত্র দেখে চক্ষু চড়ক গাছ হবার দশা। শেখ পরিবারের এই স্বৈরাচার দেশটাকে রীতিমতো চুষে খেয়েছে। দেশের এমন কোন খাত নেই যেখানের শেখ সেলিমের কমিশন বাণিজ্য ছিলো না। টেন্ডার বাণিজ্য থেকে শুরু করে কমিশন বাণিজ্য এসবের রাজা ছিলেন ফ্যাসিস্ট হাসিনার এই দোসর। এসব করে বনে গেছেন হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক।
স্বৈরাচার হাসিনার বোন রেহানা ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের তুলনায় কোন অংশে অর্থপাচারে পিছিয়ে নেই শেখ সেলিমও। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত হাসিনার প্রথম শাসনামলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন সেলিম। এরপর টানা চারটি সংসদে ছিলেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। শেখ মুজিবের ভাগনে হওয়ার সুবাদে মন্ত্রিত্ব না থাকলেও স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার, সড়ক পরিবহনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঠিকাদারি কাজের বড় অংশ ছিল তার নিয়ন্ত্রণে।
বিশেষ করে বৃহত্তর ফরিদপুর, খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের সব উন্নয়নকাজ ভাগবাটোয়ারা করতেন তিনি। বিনিময়ে মিলত ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমিশন। শুধু এতটুকুই নয় প্রতিটি সেক্টরের নিয়োগ বাণিজ্যও ছিলো তার দখলে। সরকারি চাকুরী পাইয়ে দিতে কোটি কোটি লুটে নিয়েছেন সাধারণ পাবলিকেরও। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানের ১৩০০ কোটি টাকার কাজে পছন্দের ঠিকাদারের কাছ থেকে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হারে কমিশন গ্রহণ করেছেন সেলিম এমন সুনির্দিষ্ট একটি অভিযোগ আমলে নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। ইতিমধ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। যা নিশ্চিত করেছেন দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বনানীতে শেখ সেলিমের বাসায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজের হিসাব মিলেছে। নথির পাতায় পাতায় বিভিন্ন সংকেতের মাধ্যমে নির্বাচিত ঠিকাদার, কাজ শেষ করার সময় ও কমিশনের হার উল্লেখ রয়েছে। এত শুধু একটি হিসেব জনতার সামনে এসেছে শেখ সেলিমের কাছের যারা তাদের একজনের ভাষ্যমতে, দুর্নীতিতে ফ্যাসিস্ট হাসিনা বা রেহানার চেয়েও কোন অংশে কম নয় শেখ সেলিম।
প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরাও পা চাটতো সেলিমের। তাকে খুশি করতে পারলেই মিলতো মন্ত্রীত্ব। প্রতিটি নির্বাচনের সময় মনোনয়ন বাণিজ্যও করতেন তিনি। ওবায়দুল কাদেরের সাথে মিলে প্রতিটি সংসদ সদস্য মনোয়নের জন্য ১০০ থেকে ২০০ কোটি টাকা পর্যন্ত নিতেন এমনটিও জানা যায়। স্থানীয় নির্বাচনের মনোয়ন বাণিজ্যও ছিলো তার দখলে এক্ষেত্রে নেয়া হতো বেশ বড় অংকের টাকা। উপজেলা চেয়ারম্যানের জন্য ১৫-২০ কোটি আর ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেত্রে ৫-১০ কোটি পর্যন্ত নেয়া হতো স্থানভেদে।
সেলিমকে খুশি করতে বিভিন্ন এমপি মন্ত্রীরা সাপ্লাই করতেন সুন্দরী নারী। যার মধ্যে ছিলো বিনোদন জগতের অনেক নারী তারকাও। শেখ সেলিমের বিভিন্ন দেশে বাড়ি রয়েছে বলেও জানা গেছে। তবে ফ্যাসিস্ট হাসিনার এই দোসর এসব দুর্নীতি অনিয়ম করে ঠিক কত হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন তা নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন।
সূত্র: dailyinqilab
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |