
কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিনের জন্য প্রেমিক বা প্রেমিকা ভাড়া নেওয়া বিদেশে এখন সাধারণ ব্যাপার। বিভিন্ন দেশেই অর্থের বিনিময়ে প্রেমিক-প্রেমিকা ভাড়া নেওয়ার চল হয়েছে। কয়েকটি দেশে তা রীতিমতো ‘ট্রেন্ডে’ পরিণত হয়েছে। এমন অনেক ওয়েবসাইটও রয়েছে, যেগুলিতে এ রকম অনেক ভাড়াটে প্রিয়-প্রেয়সীর খোঁজ মেলে।
সে রকমই এক জন হলেন রুবি জেড। ২১ বছর বয়সি অস্টেলীয় তরুণী অর্থের বিনিময়ে ভাড়া খাটেন প্রেমিকা হিসাবে। আয় করেন লক্ষ লক্ষ টাকা। দামি দামি উপহারও পান। সম্প্রতি মাত্র দু’মাসের জন্য প্রেমিকা হিসাবে এক ব্যক্তির সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য তিন লক্ষ টাকার উপহার পেয়েছেন তিনি।
রুবির বাড়ি অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে। নিজেকে ‘পেশাদার বান্ধবী’ হিসাবে দাবি করেন তিনি। ঘোরাফেরা, পার্টি, ভ্রমণ এবং বিশেষ অনুষ্ঠানে পুরুষদের সঙ্গ দেন তিনি। আর তাঁর বিনিময়ে নেন টাকা। কিছু গ্রাহকের সঙ্গে নৈশভোজেও যেতে হয় রুবিকে। রুবি জানিয়েছেন, এক বার এক যুবকের সঙ্গে নৈশভোজে যাওয়ার জন্য ১.৪ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তিনি।
রুবি জানিয়েছেন, গত বছর এক যুবক তাঁকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে কিনে দিয়েছিলেন দামি দামি উপহার। অন্য এক চীনা পুরুষ আবার তাঁর সঙ্গ পাওয়ার জন্য প্রতি সপ্তাহে ৫,০০০ টাকা করে দেন। একইসঙ্গে তরুণী এ-ও জানিয়েছেন, চলতি বছরের জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি— এই দু’মাসে এক গ্রাহকের থেকে ৩ লক্ষ টাকার উপহার পেয়েছেন তিনি।
তবে রুবি স্পষ্ট করেছেন, প্রেমিকা হিসাবে ভাড়া খাটলেও টাকার জন্য কোনও অনুপযুক্ত কাজ তিনি করেন না। শারীরিক সম্পর্কে জড়ান না কোনও গ্রাহকের সঙ্গে। গ্রাহকদেরও সে কথা প্রথমেই পরিষ্কার করে জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে গ্রাহকদের হাত ধরার অনুমতি দেন রুবি। এ কথা জানিয়েছেন অস্ট্রেলীয় তরুণী নিজেই। উল্লেখ্য, রুবির খবর প্রকাশ্যে আসতেই সমাজমাধ্যমে হইচই পড়েছে। নেটাগরিকদের অনেকে অনেক মন্তব্যও করেছেন বিষয়টি নিয়ে।
সূত্র: আনন্দবাজার
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |