
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সক্রিয় অ্যাক্টিভিস্ট ও লেখক পিনাকী ভট্টাচার্য ইসরায়েলর মধ্যরাতে গাজাজুড়ে ব্যাপক বোমা হামলার ঘটনা নিয়ে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, রাত গভীর গাজার আকাশে আগুনের লেলীহান শিখা। বিস্ফোরণের প্রতিটি শব্দ আকাশকে ফুড়ে চিৎকার করে জানিয়ে দিচ্ছে এখানে জীবনে এবং মৃত্যুর মাঝে কোন ব্যবধান নেই।
ধ্বংসস্তূপের মাঝে চাপা পড়া মানুষের আত্মনাত বাতাসে মিশে গেছে। এক মায়ের কন্ঠে ভেসে আসছে আমার বাচ্চাকে বাঁচান কেউ কি শুনতে পাচ্ছেন। ইফতারের পর ক্লান্ত শরীর একটু বিশ্রামের আশায় যে পরিবার শুয়ে পরেছিল কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে তারা ধূলির সাথে হয়ে গেল।
একটি শিশুর ছোট হাত ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে বেরিয়ে আছে। কিন্তু তার শরীরের আর কোন অংশ নেই। সিরাজ যুদ্ধ না, এটা নিছক প্রতিরোধের বিরুদ্ধে লড়াই না, এটা একপাক্ষিক গণহত্যা। ইসরাইল এবং হমাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ছিল। বিশ্ব আশায় ছিল হয়তো কিছুটা শান্তি আসবে। কিন্তু শান্তি আসিনি। বরং নতুন রক্তপাত শুরু হলো। ১৮ মার্চ রাতে কসাই নেতানিয়াহুর বাহিনী যুদ্ধ বিরোধী ভেঙ্গে বেসামরিক মানুষের উপরে ভয়াবহ হামলা চালালো। একরাতে ৪০০ জনের বেশি মানুষ শহীদ হলো। যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী শিশু বৃদ্ধ। যুদ্ধবিরতি নয় বরং সেখানে আবারও নির্বিচারে বিমান হামলা চালালো। এক ফিলিস্তিনি সাংবাদিক বললেন, আমি ধ্বংসস্তূপের নিচে লাশের শাড়ি দেখেছি।
কিছু লাশ এতটাই ছিন্ন ভিন্ন যে চেনার উপায় নেই। একটা শিশুর কেবল শুধু মাথা টুকু খুঁজে পাওয়া গেছে। এটা কি কোন সভ্যতার পরিচয় বহন করে। দাদার শিশুরা কোথায় যাবে? সমস্ত শিশুর স্বপ্ন এখানে এক ধ্বংসস্তূপ। একটা শিশু নাম আমান, তারপরও পরিবার গতরাতে একসাথে ইফতার করেছিল। খুব খুশি ছিল। কারণ বাবা বলেছিল যুদ্ধ শেষ হলে তোমার পছন্দের খেলনাটা এনে দেবো। সেই রাতেই এক বোমা আসে তাদের ঘরটাকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিল। আমান বেঁচে আছে কিন্তু তার বাবা মা বেঁচে নেই । তার ছোট ভাইটি তার হাত ধরে শুয়েছিল কিন্তু এখন সেন নিথর। গাজার প্রতিটি শিশুই এখন এতিম। তারা আর বাবা মায়ের গল্প শুনবে না। তোরা স্কুলে যাবে না। তারা আর খেলতে পারবে না। তাদের জীবন একটাই জীবন থেকে পালাও।
বিস্তারিত ভিডিও সহ দেখুন…
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |