
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৯ ও ২০ জুলাই রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন সুজন ও মিরাজুল নামের দুই ব্যক্তি। এ ঘটনায় দায়ের করা মোহাম্মদপুর থানার মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানকে তিনদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
এদিন আদালতে পুরোটা সময় আনিসুল হক নিশ্চুপ থাকলেও সাদেক খান বলেন সে সময় তিনি মোহাম্মদপুর ছিলেন না। এদিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ওবায়দুল ইসলাম হত্যা মামলায় হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন ও দীপু মনির চার দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, “সাদেক খানের বিরুদ্ধে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয় এবং আনিসুল হকের বিরুদ্ধে তিন দিনের রিমান্ড এবং অন্যান্য যারা আছে দীপু মনি এবং ইনু, মেনন তাদের বিরুদ্ধে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে তদন্তকারী কর্মকর্তার হেফাজতে প্রদান করেন। উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিজ্ঞ আদালত এই আদেশ প্রদান করেন।”
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেন আওয়ামী লীগের নেতাদের আদালতে নেয়া হলেই তারা দাবি করেন বহু আগেই রাজনীতি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তারা। আন্দোলন দমনে তাদের কোন ভূমিকা ছিল না।
ফারুকী আরও বলেন, “কামাল আহমেদ মজুমদার বলছে যে আমি আর আওয়ামী লীগ করবো না, আওয়ামী লীগ করি না, জীবনে কোনদিন আওয়ামী লীগ করবো না। আর সাদেক খান বলছে যে আমি তো এমপি ছিলাম না, আমি আওয়ামী লীগ থেকে দূরে ছিলাম। এসব কথা বলে পার পাওয়া যাবে না।”
একই আদালতে যাত্রাবাড়ি, মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানার পৃথক ১৯টি মামলায় সাবেক এই মন্ত্রী আমলাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
তথ্যসূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=xXtgQaIl98o
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |