
অন্যায়ভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার পর প্রত্যাবাসন কর্মসূচিতে নাম নিবন্ধন করে মালয়েশিয়া থেকে জোরপূর্বক দেশে পাঠানো হচ্ছে অভিযোগ করেছেন এক বাংলাদেশি।
ওই ভুক্তভোগীর নাম হারুন অর রশিদ। পরিবারের স্বচ্ছলতার আশায় ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বৈধপথে মালেশিয়ার পাহাংয়ের একটি সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান পাম বাগানে কাজ নেন। পরে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তার নিয়োগকর্তা তার ওয়ার্ক পারমিট নবায়ন করতে ব্যর্থ হন।
হারুনের দাবি, তাকে অন্যায়ভাবে তার নিয়োগকর্তা চাকরি থেকে বরখাস্ত করার পর তিনি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েন। কাজের অনুমতিপত্র সম্পর্কে বারবার নিয়োগকর্তাকে জিজ্ঞাসা করা সত্ত্বেও তাকে বলা হয়েছিল এটি ‘প্রক্রিয়াধীন’ রয়েছে।
এরপর ২০২৪ সালের নভেম্বরে তার নিয়োগকর্তা সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই কিছু না জানিয়ে ইমিগ্রেশন বিভাগের প্রত্যাবাসন কর্মসূচির অধীনে প্রত্যাবাসনের জন্য তার নাম নিবন্ধন করেন। এই কর্মসূচিটি সাধারণত নথিবিহীন অভিবাসীদের স্বেচ্ছায় তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য।
পরে হারুন তার নিয়োগকর্তার ওপর অসন্তুষ্ট হয়ে, দেশটির শিল্প আদালতের শরণাপন্ন হন। যেখানে ২৪ মার্চ শুনানির দিন নির্ধারিত হয়েছে। ইমিগ্রেশন বিভাগের প্রত্যাবাসন কর্মসূচির আওতায় শুক্রবার (২১ মার্চ) হারুনকে মালয়েশিয়া ছাড়ার কথা ছিল। তবে জানা গেছে, প্রথম শুনানির (২৪ মার্চ) পর হারুনের বাংলাদেশে যাওয়ার জন্য ভ্রমণ পাস প্রক্রিয়া করা হবে।
এ বিষয়ে গত ১৮ মার্চ কুয়ালালামপুরের বুকিত বিন্তাংয়ের একটি রেস্তোরাঁয় এক সংবাদ সম্মেলনে হারুন অর রশিদ বলেন, কোম্পানির দায়িত্বে থাকা স্থানীয় কর্মকর্তা ভিসা নবায়ন করার আশ্বাস দিলেও তা না করে হঠাৎ করেই তাকে না জানিয়ে বিমান টিকিট ও ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ পাসপোর্ট হাতে ধরিয়ে দিয়ে দেশে চলে যেতে বলা হয়।
ওই কর্মকর্তার কাছে দেশে পাঠানোর কারণ জানতে চাইলে, কোম্পানি আর তার সঙ্গে নতুন করে চুক্তি নবায়ন করবে না বলে জানানো হয়। হারুন জানিয়েছেন, তিনি আন্তর্জাতিক শ্রম ও মানবাধিকার সংস্থায় অভিযোগ দায়ের করেন, যদিও কোনো সহায়তা পাননি। এরপর তিনি নিজের দেশের দূতাবাসের কাছে সহায়তা চেয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দেন, কিন্তু তাও ফলপ্রসূ হয়নি। শেষ পর্যন্ত হারুন সিদ্ধান্ত নেন দেশে ফিরবেন।
এ প্রসঙ্গে হারুন বলেন, ক্ষতিপূরণ বা অন্য কিছু চাই না, দেশে যেতেও আমার কোনো আপত্তি নেই। আমার শুধু একটাই দাবি বৈধভাবে এসে অবৈধ, কালো তালিকা ভুক্ত হয়ে স্থানীয় ইমিগ্রেশনে ক্ষমা চেয়ে কেন দেশে যেতে হবে? আমি তো কোনো অপরাধ করিনি।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |