প্রচ্ছদ জাতীয় কলকাতায় হাসিনার গোপন মিটিংয়ে নয়া ষড়যন্ত্র? জানা গেলো চাঞ্চল্যকর তথ্য!

কলকাতায় হাসিনার গোপন মিটিংয়ে নয়া ষড়যন্ত্র? জানা গেলো চাঞ্চল্যকর তথ্য!

২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যা চালিয়ে চোরের মত লেজ গুটিয়ে পালানো ফ্যাসিস্ট হাসিনার ঠিকানা হয় গুজরাটের কসাইখ্যাত নরেন্দ্র মোদির ভারতে। হাসিনাকে এতদিন কড়া নিরাপত্তায় দিল্লিতে রাখলেও সম্প্রতি নিরাপত্তা ইস্যুতেই তাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে কলকাতায়। বাংলাদেশ থেকে কলকাতার দূরত্ব খুব বেশি নয়। এবার কলকাতাতেই হাসিনা গোপন মিটিংয়ে অংশ নিয়েছেন।

একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রের খবর আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে হাসিনা এই গোপন বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। গত রোববার কলকাতার রাজারহাট নিউটাউন প্লাজায় একটি ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শতাধিক নেতাকর্মী। যার মধ্যে অন্যতম সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শেখ রেহানার ছেলে রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, বাহাউদ্দিন নাসিম, গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ আরো অনেকেই। ইফতার শেষে তারা একটি গোপন বৈঠক করেন বলেও নিশ্চিত করে সেই সূত্র।

ফ্যাসিস্ট হাসিনার এই গোপন মিটিংয়ে কি বিষয়ে আলোচনা হলো? সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের আওয়ামী লীগের নেতারা গত কিছুদিন ধরে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। তাদের মূল টার্গেট ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ও দেশের সেনাবাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। আর এই সুযোগে দেশকে অস্থিতিশীল করার মাধ্যমে দেশে ঢুকে পড়া। শুধু এতটুকুই নয় আসন্ন ঈদকে ঘিরে নয়া ষড়যন্ত্রের প্ল্যান করা হয় গোপন এই বৈঠকে, সূত্র এমনটিই বলছে।

এই বৈঠকে ফ্যাসিস্ট হাসিনা তার নির্ভরযোগ্য কিছু নেতাকে ঈদের ছুটির সময় ফাঁকা ঢাকায় নাশকতা করার দায়িত্ব দিয়েছেন। এর আগে ফাঁস হওয়া একটি হোয়াটসঅ্যাপ কনভারসেশনে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে বলতে শোনা গিয়েছিলো, “যে ঢাকায় দিনের বেলা আওয়ামী লীগের লোকজন থাকতে পারবে না, সেখানে রাতের বেলা মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেওয়া হবে না।” এই কনভারসেশনের পরপরই, ঢাকায় চুরি, ছিনতাই, এবং ডাকাতির ঘটনা বেড়ে যায়।

এবার আওয়ামী লীগের গোপন বৈঠকের নয়া এই ষড়যন্ত্র নিয়ে সজাগ থাকতে হবে জনসাধারণসহ অন্তর্বর্তী সরকারকে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসরদের ছাড় দেওয়া যাবে না কোনভাবেই। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানকে সফল করতে হলে হাসিনার দোসরদের তাড়াতে হলে এখনি রুখে দাঁড়াতে হবে ওদের বিরুদ্ধে। পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় দরকার হলে পাহারা বসাতে হবে, এমনটিই মনে করেন দেশের সচেতন নাগরিকরা।

সূত্র: ইনকিলাব

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।