প্রচ্ছদ জাতীয় ভারতের এত বড় ক্ষতি করলো হাসিনা? দুধ-কলা দিয়ে কাল সাপ পুষলো ওরা!

ভারতের এত বড় ক্ষতি করলো হাসিনা? দুধ-কলা দিয়ে কাল সাপ পুষলো ওরা!

একজন স্বৈরাচার, গণহত্যাকারী হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত যে পাপ করেছে তা ধীরে ধীরে বুঝতে শুরু করেছে ভারতের দাদাবাবুরা। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশজুড়ে গণহত্যা চালিয়ে পালিয়ে যায় নরেন্দ্র মোদির দেশে। গণহত্যাকারী এই খুনিকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশসহ ভারতীয় জনগণের কাছেও খলনায়কে পরিণত হোন গুজরাটের কসাইখ্যাত মোদি। এখন হাসিনাই যেনো ওদের গলার কাঁটা। হাসিনার জন্য ভারতের যত বড় ক্ষতি হচ্ছে তা কি কখনো পূরণ করার মতো?

ফ্যাসিস্ট হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর মোদি সরকার ইচ্ছে করেই বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে চাপে ফেলতে ভিসা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এমনকি মেডিকেল ভিসা বন্ধ করে দেওয়ার মতও নেক্কারজনক ঘটনার জন্ম দেয় ভারত। এই সুযোগে বসে থাকে না নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সুযোগের শতভাগ ব্যবহার করে বিশ্বের প্রথম সারির চিকিৎসা সেবার দেশ চীনের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন ঘটায় ইউনূস সরকার সেই সাথে কম খরচে মেডিকেল ভিসা ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করে দেশের জনগণের জন্য।

শুধু কি চীন? ভারতের এমন আচরণে আর বাংলাদেশে নিজেদের পণ্য না পাঠানোয় দাদাবাবুদের চির শত্রু পাকিস্তানের সাথেও সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটে বাংলাদেশের। পাকিস্তানি জাহাজ বিপুল পরিমাণ পণ্যসহ একাধিকবার ভেরে বাংলাদেশের ডেরায়। এসবে যেনো এখন জ¦লছে ভারত। নিজেদের পা’য়েই কুড়াল মেরেছে দাদারা, এটি আর বোঝার বাকি নেই ওদের। বাংলাদেশের পর্যটক না থাকায় ভারতের কলকাতার ব্যবসায়ীদের এখন রীতিমতো না খেয়ে মরার দশা। অপরদিকে বাংলাদেশি রোগি না থাকায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে ভারতের অনেক হাসপাতাল আর ক্লিনিকও।

সম্পতি বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু শুভেচ্ছা বার্তা নয় এই বার্তায় ড. ইউনূস সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রগতিরও বেশ প্রশংসা করার পাশাপাশি অন্তবর্তী সরকারের সাথে কাজ করার আগ্রহের কথাও জানান তিনি।

ভারতের মোদি সরকার ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার পর থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রীতিমতে ভুলভাল বোঝানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিলো ওরা। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনসহ সেনাবাহিনী নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়াতে ব্যস্ত ছিলো দাদাবাবুরা। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্টের তাতে থোরাই কেয়ার? মোদি সরকারের এসব মিথ্যা চালবাজি বুঝতে পেরেই ইউনূস সরকারের সাথে কাজ করার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন তিনি, ঠিক এমনটিই মনে করেন বিশ্লেষকরা।

হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে এখন যেনো আফসোসে পোড়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই মোদি সরকারের। বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের পথে ভারতের জন্য এখন গলার কাঁটা হাসিনা। অপরদিকে বিশ্ব মিডিয়ায় মোদি সরকারের বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য ছড়ানোর চালবাজিও এখন প্রকাশ্যে, সব মিলে ভারত যেনো মহাক্ষতিগ্রস্থ হলো হাসিনার জন্য। বেলাশেষে তবে কি দুধ-কলা দিয়ে কাল সাপ পুষলো ভারত?

সূত্র: ইনকিলাব

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।