
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেছেন, আমরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের কথা এজন্য বলছি কারণ নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে এদেশের তরুণরা এগিয়ে যাবে। আমরা সাহস দেখিয়েছি, সামনের পার্লামেন্টে প্রজ্ঞা দেখিয়ে ছাড়ব। গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে একটি সুন্দর নির্বাচন এবং সুন্দর সংবিধান উপহার দেব।
শনিবার (২৯ মার্চ) বিকেলে ভোলা জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির আয়োজনে জেলা পরিষদ হলরুমে দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন
সামান্তা শারমিন বলেন, বাংলাদেশকে কখনই আধুনিক রাষ্ট্রের মর্যাদা ও দেশের নাগরিকের মর্যাদা দেওয়া হয়নি। আমরা আমাদের মর্যাদা ফেরত নেব। গণপরিষদ নির্বাচন ও সংবিধান পরিবর্তন না করে মাঠ না ছাড়ব না।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো গণবিরোধী, অথচ আপনারা দেখেন পুলিশ আমাদের ট্যাক্সের টাকায় বেতন পেয়েছিল, দুদক, নির্বাচন কমিশন আছে, কিন্তু আমরা দেখি নাই তারা আমাদের পক্ষে একটা কথা বলতে। তারা খুনি ফ্যাসিস্ট হাসিনার পক্ষে যত রকমের তেলবাজি, তাঁবেদারি আছে এগুলো করেছে। আমরা এগুলো অভারকাম করব। কারণ আমরাই সেই শক্তি যারা দিল্লির গোলাম হাসিনাকে এ দেশ থেকে বিদায় করেছি, তার ফ্যাসিস্ট কাঠামোকেও এদেশ থেকে বিদায় করব। আমাদের সকলকে একত্রে থাকতে হবে। শ্রমিক কৃষক ও চব্বিশের অভ্যুত্থানে যারা অংশগ্রহণ করেছে, তাদের যে হিস্যা সেটা কেউ দিতে পারবে না। বাংলাদেশের আপামর ছাত্র-জনতার থেকে মুক্তিযুদ্ধ কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।
ভোলার গ্যাস প্রসঙ্গে সামান্তা শারমিন বলেন, গত ১৫ বছরে ভোলার দিকে কেউ নজর দেয়নি। কিন্তু আমরা এটাও দেখেছি আগের আমলগুলোতে বড় বড় রাজনৈতিক দল বড় বড় কথা বলেছে। ভোলার দিকে তারা সুনজর ফেরাননি। ভোলার আর্থসামাজিক উন্নয়নে তাদের মনোযোগ ছিল না। কিন্তু ভোলা থেকে চাঁদাবাজি করে টেন্ডারবাজি করে টাকা উত্তোলন করে সে টাকায় নিজেদের জীবনমান উন্নয়ন করেছে। এসব পার্সনাল এজেন্ডা ভন্ডুল করে দেব। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি গ্যাসক্ষেত্র আছে ভোলায়। কিন্তু ভোলার অধিবাসীরা ভোলার গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস পাচ্ছে না। এটির সমাধান করার দৌলত কোনো রাজনৈতিক দলের হয় নাই। এনসিপি প্রতিজ্ঞা করছে ভোলার গ্যাসক্ষেত্রের গ্যাস আগে ভোলার অধিবাসীরা পাবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক এস.এম.শাহরিয়ার, কেন্দ্রীয় সদস্য সাইফুল ইসলামসহ স্থানীয় এনসিপি নেতৃবৃন্দ। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আমন্ত্রিত নেতৃবৃন্দসহ চব্বিশের অভ্যুত্থানে নিহত শহীদ পরিবারের সদস্যরা ও আহতরা বক্তব্য দেন।
পরে জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে ভোলার শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে ও আহতদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |