প্রচ্ছদ মিডিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা

ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম পথিকৃত মনোজ কুমার আর নেই। শুক্রবার (৪ মার্চ) ভোররাতে মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই বরেণ্য অভিনেতা ও নির্মাতা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে জানা গেছে, বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন মনোজ কুমার। হৃদ্‌রোগ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে সম্প্রতি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

অভিনেতার মৃত্যুর সময় পাশে ছিলেন ছেলে কুণাল। কুণাল বলেন, ভোর সাড়ে তিনটায় বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন, তবে প্রতিটি মুহূর্তে সাহসের সঙ্গে লড়েছেন। শনিবার (৫ মার্চ) সকালে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। দুই মাস পর ৮৮তম জন্মদিন পালন করার কথা ছিল এই কিংবদন্তির। বয়স বাড়লেও পরিবার, বিশেষ করে নাতি-নাতনিদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে তিনি খুশি ছিলেন বলে জানান কুণাল।

মনোজ কুমার মানেই দেশপ্রেমের প্রতিচ্ছবি। তার সিনেমায় বারবার ফুটে উঠেছে ভারতের প্রতি ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা। ‘পূর্ব–পশ্চিম’, ‘রোটি কাপড়া আউর মকান’, ‘ক্রান্তি’র মতো সিনেমাগুলো তাকে ‘ভারত কুমার’ উপাধি এনে দেয়। তার পর্দায় পরিবেশিত ‘মেরি দেশ কি ধারতি’ গানটি আজও ভারতীয় সিনেমার গৌরবময় অংশ হিসেবে স্মরণীয়।

মনোজ কুমার ১৯৩৭ সালে অবিভক্ত ভারতের অ্যাবোটাবাদে (বর্তমানে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া) জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল নাম ছিল হরিকৃষ্ণন গোস্বামী।

মনোজ কুমার ১৯৩৭ সালে অবিভক্ত ভারতের অ্যাবোটাবাদে (বর্তমানে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া) জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল নাম ছিল হরিকৃষ্ণন গোস্বামী।

এই গুণী শিল্পীর প্রয়াণে শোক জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলিউডের বিভিন্ন অঙ্গনের তারকারাও স্মরণ করছেন তাকে শ্রদ্ধায় ও আবেগে। অন্যদিকে, পরিচালক অশোক পণ্ডিত জানান, মনোজজি গত কয়েক বছর ধরে অসুস্থ ছিলেন, কিন্তু তিনি ছিলেন প্রাণবন্ত এক মানুষ। বলিউড তাঁর অভাব অনুভব করবে।

মনোজ কুমার ১৯৩৭ সালে অবিভক্ত ভারতের অ্যাবোটাবাদে (বর্তমানে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া) জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল নাম ছিল হরিকৃষ্ণন গোস্বামী। মাত্র ২০ বছর বয়সে ১৯৫৭ সালে ‘ফ্যাশন’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন তিনি। এরপর ১৯৬১ সালের ‘কাচ কি গুড়িয়া’ তাকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দেয়। তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সফল সিনেমা ছিল ‘গুমনাম’ (১৯৬৫), যা সে সময় ২.৬ কোটি রুপি আয় করে রেকর্ড গড়েছিল।