প্রচ্ছদ সারাদেশ হাসপাতাল থেকে তুলে নেয়া হলো ধর্ষণের শিকার তরুণী ও তার মাকে

হাসপাতাল থেকে তুলে নেয়া হলো ধর্ষণের শিকার তরুণী ও তার মাকে

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) থেকে বের হওয়ার পর ধর্ষণের শিকার তরুণী ও তার মাকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (২৮ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ডুমুরিয়ার রুদাঘরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুজ্জামানকে আটক করেছে।

বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মো. মোমিনুল ইসলাম জানান, বিকেলে ওই তরুণীকে ওসিসি থেকে ছাড়পত্র দেয়া হবে বলে জানতে পেরে মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকরা ওসিসির সামনে অপেক্ষায় ছিলেন। ছাড়পত্র পাওয়ার পর ওই তরুণী তার মাকে সঙ্গে নিয়ে বাইরে বের হন। তখন মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকরা তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য এগিয়ে যান।

এ সময় আগে থেকে সেখানে অপেক্ষায় থাকা দুর্বৃত্তরা ওই তরুণী ও তার মাকে ধাক্কাধাক্কি করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এছাড়া তারা দুই থেকে তিনজন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের ধাক্কা দিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এরপর দ্রুত মাইক্রোবাসটি মেডিকেল ত্যাগ করে।

খবর পেয়ে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুজ্জামানকে আটক করে সোনাডাঙ্গা থানায় নিয়ে যায়।

সোনাডাঙ্গা থানার ওসি তদন্ত মো. আমিনুল ইসলাম জানান, অপহরণ ও হামলার কথা শুনে তিনি ঘটনাস্থলে এসেছেন। ঘটনাস্থল থেকে রুদাঘরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুজ্জামানকে আটক করা হয়েছে। তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তরুণী ও তার মাকে অপহরণ করা হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ওই তরুণী। শনিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।

ওই তরুণী অভিযোগ, উপজেলা চেয়ারম্যান বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছে। সর্বশেষ শনিবার রাতে ডুমুরিয়ার শাহপুরে উপজেলা চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই তরুণীর বাড়ি ডুমুরিয়ার একটি গ্রামে। তিনি স্থানীয় একটি কলেজে পড়েন।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।