
হেড লাইন: ২০১৭ সালে চীনা কর্মকর্তারা নিয়মিত ঢাকার রেল ভবনে যাতায়াত করছিলেন। তাদের প্রস্তাব ছিল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম পর্যন্ত ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার গতির বুলেট ট্রেন চালু করা, যাতে যাত্রার সময় কমে দাঁড়াত মাত্র ৫৫ মিনিটে। সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ, নকশা প্রায় চূড়ান্ত, প্রয়োজন ছিল শুধু প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের—কিন্তু সেই অনুমোদন আর এলো না।
সূত্র বলছে, যখনই এই প্রকল্পের ফাইল শেখ হাসিনার কাছে তোলা হতো, ততবারই নাকি ফোন আসত—”ওটা একটু চেপে রাখো, চীনের সঙ্গে বেশি কাছাকাছি যাব না, মোদীর অসুবিধা হবে।” এমন বার্তার প্রেক্ষিতে এক সময় শেখ হাসিনা হয়ে উঠেন প্রতিবেশী দেশের স্বার্থ রক্ষায় নিয়োজিত এক বর্ডার-পার ম্যানেজার। রেল ভবনে পরে থাকতে দেখা গেছে সেই ভূকল্প ফাইলগুলো। অনেক কর্মকর্তা হাল ছেড়ে দিলেও ফিসফিস করে বলে গেছেন—”উন্নয়ন চাইলে চীন ছাড়া বিকল্প নেই।” কিন্তু চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা মানেই ভারতের অসন্তোষ—এটা জানতেন শেখ হাসিনা। মোদী ছিলেন তার পরম বন্ধু, আর এই সম্পর্ক বিঘ্নিত হলে টিকবে না হাসিনার সিংহাসন—এই বিশ্বাসেই থেমে যায় প্রকল্পটি।
চীন অপেক্ষায় ছিল, বিনিয়োগ বোর্ড নিশ্চুপ, আমলারা নীরব থেকে অবসর নিয়েছে। অথচ শেখ হাসিনা নিজেকে মিডিয়ার সামনে তুলে ধরেছেন ‘উন্নয়নের জননী’ হিসেবে। তবে বাস্তবতা ছিল ভিন্ন—বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে ভারতের এক অঘোষিত প্রদেশে। উন্নয়ন এসেছে, কিন্তু দেশের আত্মমর্যাদার বিনিময়ে। প্রেক্ষাপট পাল্টেছে ২০২৪ সালে। ঢাকার রাজপথে উত্তাল জনতা। ছাত্র-জনতার স্লোগানে মুখর—“স্বৈরাচার, তুই গদি ছাড়!” ভেঙে পড়ে দীর্ঘদিনের ক্ষমতার কাঠামো। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে আশ্রয় নেন মোদীর ভারতেই। এদিকে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হয়। সাধারণ মানুষ বেছে নেয় এক ব্যতিক্রমধর্মী নেতৃত্ব—ড. মোহাম্মদ ইউনূস। তিনি পেশাদার রাজনীতিক নন, তবে হয়ে উঠেছেন পরিবর্তনের প্রতীক।
তথ্যসূত্র:
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |