এই গরমে এসি ছাড়া এক মুহূর্ত থাকাটাই কঠিন। তবে যারা ধূমপানে আসক্ত, তাঁদের জন্য এই সময়টা হয়ে উঠছে আরও জটিল। ঠান্ডা ঘর ছেড়ে বারবার বাইরে গিয়ে ধূমপান করাটা ঝামেলার কাজ—এ কারণে অনেকেই এসি চালানো ঘরে বসেই একের পর এক সিগারেট ফুঁকছেন।
কিন্তু চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা স্পষ্টভাবে বলছেন—এই অভ্যাস শুধুমাত্র অস্বাস্থ্যকরই নয়, হতে পারে ভয়াবহ বিপদের কারণ। বদ্ধ ঘরে, বিশেষ করে এসি চলা অবস্থায় ধূমপান করলে আগুনের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। সিগারেটের আগুন বা ফুলকি থেকে যে কোনও সময় হতে পারে দুর্ঘটনা বা বিস্ফোরণ। গবেষণায় দেখা গেছে, এসি চালানো ঘরে ধূমপান করলে শরীরের স্বাভাবিক ‘কুলিং প্রসেস’ বা ঠান্ডা রাখার ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধোঁয়ার সঙ্গে যে তাপ শরীর থেকে বের হওয়ার কথা, তা থেকে যায় শরীরের ভেতরে। এর ফলে: হৃদযন্ত্রে অতিরিক্ত চাপ পড়ে, মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়, ফুসফুস ও কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ‘হিট স্ট্রোক’-এর ঝুঁকি বাড়ে।
বদ্ধ ঘরে ধূমপান করলে আশপাশের মানুষরা পরোক্ষভাবে (Passive Smoking) ধোঁয়ার শিকার হন। এতে তাদের ফুসফুস, গলা ও মুখে ক্যানসারের সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যায়। বিশেষ করে যাদের আগে থেকেই হার্টের সমস্যা আছে, তাদের জন্য এটি হতে পারে জীবনঘাতী। এসি চালু অবস্থায় ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ থাকে। ফলে সিগারেটের ধোঁয়া বারবার সেই ঘরেই ঘুরতে থাকে। এতে ধোঁয়া ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ: বায়ুর মান খারাপ করে, ফুসফুসে অতিরিক্ত কার্বন ও টক্সিন জমে, শ্বাসকষ্ট, কাশি, ব্রঙ্কাইটিসের ঝুঁকি বাড়ায়
বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা:
“শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে ধূমপান শুধু নিজের নয়, আশপাশের সবার জন্যই ভয়াবহ,”—বলছেন চিকিৎসকরা। তারা পরামর্শ দিচ্ছেন: ধূমপান সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলুন, একান্তই যদি ধূমপান করতেই হয়, তাহলে তা খোলা জায়গায় করুন। বদ্ধ ঘরে ধূমপানের অভ্যাস পরিহার করুন, বিশেষ করে এসি চলাকালীন
