প্রচ্ছদ সারাদেশ শেখ হাসিনার পতন ঠেকাতে ববি শিক্ষকদের অনলাইন সভার ভিডিও ফাঁস

শেখ হাসিনার পতন ঠেকাতে ববি শিক্ষকদের অনলাইন সভার ভিডিও ফাঁস

শেখ হাসিনার পতন ঠেকাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি অনলাইন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা এক দফা দাবিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করা হয়। পাশাপাশি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গদি বাঁচাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এক হয়ে কাজ করার কথা জানানো হয়।

প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে অনলাইন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জুলাই আন্দোলন চলাকালীন নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সমর্থনে বিবৃতি দেওয়া শিক্ষকদের বিভিন্ন হুমকি দেওয়া হয়। এছাড়াও নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষক সমাজের বিবৃতিতে স্বাক্ষর করায় অনেক শিক্ষক তোপের মুখে পড়েন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনলাইন মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রক্টর আব্দুল কাইয়ুম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল বাতেন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক তারেক মাহমুদ আবিরসহ অনেককেই।

অনলাইন সভায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল বাতেন চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের ঘোষিত এক দফার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এই আন্দোলনে যারা নেমেছে তাদের আমি ঘৃণা করি, এই আন্দোলন প্রত্যাখ্যান করি। আমরা সবাই আওয়ামী লীগের অর্থাৎ শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত, তাই আমাদের শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়ানো দায়িত্ব। সময় এসেছে তা প্রমাণ করার। এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন দিল আফরোজ খানমকে বলতে শোনা যায়, আমি বিশ্বাস করি এই মুহূর্তে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নাই।

এদিকে, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। একাধিক শিক্ষার্থী ভিডিওটি শেয়ার দিয়ে ফেসবুকে লেখেন, এই ভিডিও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লজ্জার। পাশাপাশি তারা নানা সমালোচনাও করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল জেলার আহ্বায়ক মো. সাব্বির হোসেন সোহাগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, খুব শিগগিরই ‘লং মার্চ টু বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বরিশালের সকল ছাত্র-জনতাকে প্রস্তুত থাকার জন্য আহ্বান করা হলো। কোনো ফ্যাসিস্টের স্থান বরিশালের মাটিতে হবে না। প্রশাসনকে বলবো, অতিদ্রুত এদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসুন।