
সিলেটে কলেজছাত্র তুষার আহমেদ চৌধুরী হত্যাকাণ্ডে আটক হওয়া পারভেজ মূল অভিযুক্ত পারভেজ নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) যাকে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজার এলাকা থেকে আটক করা হয়েছিল তিনি নির্দোষ এবং মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার।
মূল আসামি পারভেজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঢাকার পূর্বাচল সংলগ্ন গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ এলাকা থেকে। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, আটক হওয়া পারভেজ একজন দোকান কর্মচারী। তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে তাকে হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি হিসেবে প্রচার করা হয়। যার ফলে তিনি মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হন। তাকে স্বসম্মানে মুক্তি দেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তারা।
তুষার হত্যার ঘটনায় নতুন মোড় আসে রোববার (২০ এপ্রিল)। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া মূল পারভেজ (২০) সিলেটের বালাগঞ্জ থানার জালালপুর গ্রামের মো. সুনাফর আলী সানোয়ারের ছেলে। বর্তমানে তিনি নগরীর কলবাখানী এলাকায় বসবাস করছিলেন। তার সঙ্গে আটক হন রাজু দাস (২৩), তিনি দিরাইয়ের রন্নারচর গ্রামের সোমলাল দাসের ছেলে। বর্তমানে তিনি বাগবাড়ি এলাকায় বসবাস করেন।
নিহত তুষার আহমেদ চৌধুরী (২১) ছিলেন এমসি কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও সিলেট নগরীর রায়নগর এলাকার বাসিন্দা অ্যাডভোকেট সাজেদ আহমদ চৌধুরীর ছেলে। ১৫ এপ্রিল রাতে শাহী ঈদগাহ এলাকার দলদলি চা বাগানে পূর্ব শত্রুতার জেরে পারভেজ, জাবেদ, রানা ও আরও ৬–৭ জন তার ওপর হামলা চালায়। ছুরিকাঘাতে আহত তুষার ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত মূল আসামিরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধের দায় স্বীকার করেছেন এবং তাদের আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) এডিসি মিডিয়া মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, একটি কুচক্রী মহল আসামিদের আড়াল করতে নির্দোষ যুবকের ছবি ছড়িয়ে দিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছে। অভিযুক্তদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আটক পারভেজকে স্বসম্মানে মুক্তি দেওয়া হবে।