প্রচ্ছদ জাতীয় প্রাইম এশিয়া শিক্ষার্থী হত্যা, ছাত্রদল মিডিয়া ট্রায়ালে লিপ্ত হয়েছে: উমামা ফাতেমা

প্রাইম এশিয়া শিক্ষার্থী হত্যা, ছাত্রদল মিডিয়া ট্রায়ালে লিপ্ত হয়েছে: উমামা ফাতেমা

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যার ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছাত্রদলের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালানোর অভিযোগ তুলেছে। প্লাটফর্মের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেছেন, ছাত্রদল অপরাধ প্রমাণের আগেই ‘মিডিয়া ট্রায়ালে’ লিপ্ত হয়েছে। এ ধরনের প্রচারণাকে নিন্দা জানিয়েছে একই সঙ্গে পারভেজের হত্যাকাণ্ডে দ্রুত সময়ে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করে শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন তারা।

রোববার রাত সাড়ে দশটায় রাজধানীর রূপায়ন টাওয়ারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিষয়কের সেলের সম্পাদক হাসান ইনাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য মইনুল ইসলাম, সিনথিয়া জাহিন আয়েশা, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আহবায়ক এম এইচ মঞ্জুর, বনানী থানার আহবায়ক মাহমুদুল হাসান জয় প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে উমামা ফাতেমা বলেন, জাহিদুল ইসলামের নির্মম হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে ছাত্রদল একটি ঘৃণ্য রাজনৈতিক অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। হত্যার প্রকৃত কারণ, প্রকৃত অপরাধী ও ক্যাম্পাসে সহিংসতা ছড়ানোর পেছনে থাকা বাস্তব চিত্রকে আড়াল করে তারা ঘটনার রাজনৈতিক ব্যবচ্ছেদে মনোযোগী হয়েছে। এমনকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গণঅভ্যুত্থানের প্লাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে এই হত্যার মদদদাতা হিসেবে অভিযুক্ত করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ঘটনার সময় উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানা কমিটির সাথে যুক্ত প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি বিভাগের ছাত্র হৃদয় মিয়াজি এবং ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সোবহান নিয়াজ তুষার ছিলেন। একইসাথে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী ইমতিয়াজ জাহিদ, ছাত্রদল কর্মী তাওহিদ অন্য শিক্ষার্থীরাও সেখানে ছিলেন। তদন্তের আগে আমরা কোনোভাবেই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চাই না যে কারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগেই ছাত্রদল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালিয়ে ‘মিডিয়া ট্রায়ালে’ লিপ্ত হয়েছে, যা নিন্দনীয় ও অনভিপ্রেত।

তিনি আরও বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত যে-ই হোক, তাদেরকে রাজনৈতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে গিয়ে, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনতে হবে। যেহেতু ক্যাম্পাসে এক শিক্ষার্থী হত্যার মতো গুরুতর অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তাই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উপস্থিত সকলকে—তা তারা যে সংগঠনেরই হোক—তদন্তের আওতায় আনা অবশ্যই যুক্তিযুক্ত।