
বর্তমান ডিজিটাল যুগে মোবাইল বা ভিডিও কলের মাধ্যমে বিয়ের ঘটনা বাড়ছে। বিশেষ করে যখন বর প্রবাসে থাকেন এবং দেশে এসে বিয়ে করার সুযোগ পান না, তখন পরিবারের সিদ্ধান্তে ভিডিও কলে বিয়ের আয়োজন করা হয়।
এই প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার লিমা আঞ্জুমান বলেন, “ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী সাক্ষী উপস্থিতিতে ভিডিও কলে কবুল বলা হলে বিয়ে সম্পন্ন হয়। তবে আইনগত স্বীকৃতি পেতে কিছু আনুষ্ঠানিকতা পূরণ করা জরুরি।”
তিনি জানান, ভিডিও কলে বিয়ের পর বর দেশে এলে, যেদিন বিয়ে হয়েছিল সেই তারিখ অনুযায়ী ‘বালাম খাতায়’ তার জন্য একটি খালি পৃষ্ঠা সংরক্ষণ করা হয়। দেশে ফিরে তিনি ওই পাতায় স্বাক্ষর ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেন। এছাড়া দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতিও নিশ্চিত করতে হয়। এসব আনুষ্ঠানিকতা ঠিকমতো সম্পন্ন হলে বিয়েটি আইনি স্বীকৃতি পায়।
লিমা আঞ্জুমান আরও বলেন, “অনেক সময় দেখা যায় পারিবারিকভাবে এই ধরনের বিয়েগুলো হয়ে যায়, কিন্তু পরবর্তীতে কোনো আইনি জটিলতা এড়াতে হলে কাগজপত্র ঠিকঠাকভাবে সম্পন্ন করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
সুতরাং, ভিডিও কলে বিয়ে ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বৈধ হলেও, পূর্ণ আইনগত স্বীকৃতি পেতে হলে দেশে এসে আনুষ্ঠানিক কাগজপত্র সম্পন্ন করা উচিত।
সূত্র: জনকণ্ঠ