
পিনাকী ভট্টাচার্য কিছুক্ষন আগে তিনির ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন তা হুবহু তুলে ধরা হলোঃ ~দেশবাসী সাবধান: সশস্ত্র বাহিনীর উপর দখল নিতে চাইছে ইন্ডিয়া~
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ ছাত্র-জনতার টানা কর্মসূচির চুড়ান্ত পর্বে গতপরশু রাতে জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। ১০ মে শনিবার রাত ৮টায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভা শুরু হওয়ার আগে হঠাৎ করে সেখানে এসে হাজির হন সেনাপ্রধান। তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে জরুরী বার্তা দেয়ার কথা বলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করার পরামর্শ দেন।
শনিবার ছুটির দিনে তিনি বিএনপি’র একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার উপর চাপ প্রয়োগ করার আহ্বান জানান। উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক চলাকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা আলমগীর টেলিফোনে একাধিক উপদেষ্টার সাথে কথা বলে জেনারেল ওয়াকারের মত প্রায় অভিন্ন পরামর্শই প্রদান করেন। তবে বৈঠক শেষে গভীর রাতে ‘আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধের’ সিদ্ধান্তের খবর শুনে সেনাপ্রধান মুষড়ে পড়েন।
শীর্ষ সেনা নেতৃত্বের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে পরিবর্তন ঘটানোর পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজে তিনি গতকাল রবিবার সারাদিন তাঁর অনুগত কিছু সেনা কর্মকর্তাদের সাথে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার পর, বাংলাদেশের সেনা নেতৃত্বের শীর্ষ পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ পদেগুলো থেকে নিজেদের লোক ছাড়া অন্যদের সরিয়ে দিতে চাইছে ইন্ডিয়া। দেখা যাক, তাদের এই অপচেষ্টায় প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস সম্মতি দেন কিনা!