
নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়ে বিএনপি এবং অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে যে একধরনের দ্বন্দ্ব-অবিশ্বাস বাড়ছিলো, লন্ডন বৈঠকের পর আপাতত তার অবসান হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু এরপরও নির্বাচনের আগে বেশ কিছু বিষয়ে চ্যালেঞ্জ আছে রাজনীতিতে।
বিশেষ করে সংস্কারের বিভিন্ন ইস্যু, সংস্কার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এবং সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে সংশয়ের কথা জানাচ্ছে জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন দল। এসব ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গেও মতপার্থক্য তীব্র হয়েছে।
এসব বিষয়ে নিয়ে বিবিসি বাংলার তাফসীর বাবুর এক প্রতিবেদনে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দলগুলোর সঙ্গে যখন ঐকমত্য কমিশনের ধারাবাহিক বৈঠক চলছে, তখনও এসব মতপার্থক্য জোরালো হয়ে সামনে এসেছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেছেন, দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে তাদের লক্ষ্য ঐকমত্য তৈরি করা।
তবে সংস্কারের বাইরেও বিভিন্ন ইস্যু আছে, যেগুলো নির্বাচনের আগে রাজনীতিতে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
ঐকমত্য কীভাবে হবে?
রাজনৈতিক দলগুলো দফায় দফায় বৈঠকে বসে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের মতো বহু বিষয়ে একমত হলেও সংবিধান ও রাষ্ট্রকাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য তীব্র হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, সাংবিধানিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য জাতীয় সাংবিধানিক পরিষদ গঠন, রাষ্ট্রের মূলনীতিসহ মৌলিক বিষয়গুলোতেই মতপার্থক্য বেশি দেখা যাচ্ছে। এই মতপার্থক্যগুলো আগে থেকেই দলগুলোর পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়।