
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় এক তরুণীকে হাত-পা বেঁধে জোরপূর্বক তুলে নেয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। তবে স্থানীয় পুলিশ বলছে, বিষয়টি রাজনৈতিক নয়, এটি সম্পূর্ণভাবে পারিবারিক বিরোধের জের। শনিবার (২৮ জুন) রাতে রাঙ্গাবালীর মৌডুবী ইউনিয়নের মাঝের দেওর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বাইলাবুনিয়া গ্রামের শাখাওয়াত হোসেনের মেয়ে তন্নী ও পাশের গ্রামের বাসিন্দা কামাল গাজী দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন। পরিবারের অসম্মতির পরও তারা গত ২০ জুন পালিয়ে বিয়ে করেন এবং গত ৭ থেকে ৮ দিন ধরে তন্নী কামালের বাড়িতেই ছিলেন।
তন্নীর পরিবার এই সম্পর্ক ও বিয়েতে আপত্তি জানিয়ে আসছিল। শনিবার গভীর রাতে তন্নীর বাবা স্থানীয় কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে কামালের বাড়িতে যান এবং মেয়েকে বাড়ি ফেরত নিতে জোর করেন। মেয়েটি যেতে না চাইলে, তাকে কয়েকজন মিলে টেনে-হিঁচড়ে, হাত-পা বেঁধে জোর করে তুলে নিয়ে যান।
ঘটনার ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যায়-এক তরুণীকে কয়েকজন ব্যক্তি টেনে নিয়ে যাচ্ছে। ভিডিওটি শেয়ার করে কামাল গাজী লিখেছেন:
‘আমার বাড়ি থেকে আমার কলিজা বউকে এভাবে মেরে হাত-পা বেঁধে নিয়ে গেছে। দেশবাসীর সহযোগিতা চাই।’
এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমারত হোসেন জানান, ঘটনাটি রাজনৈতিক নয়, এটি পারিবারিক। মেয়ের বাবা চাননি তার মেয়ে ছাত্রলীগকর্মী কামালের সঙ্গে থাকুক। স্থানীয় গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি বলে জানান তিনি।