প্রচ্ছদ জাতীয় ছাত্রশিবিরের ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

ছাত্রশিবিরের ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম, অফিস সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাহিদুল ইসলাম।

শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, শহীদদের নিয়ে যখন বিভিন্ন মহল দলীয়করণ ও ক্রেডিটের রাজনীতি করার চেষ্টা করছে, ঠিক তখন জুলাই স্পিরিট ধরে রাখতে ছাত্রশিবির সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

৫ আগস্ট-পরবর্তী সময় থেকে আজ অবধি ছাত্রশিবির ধারাবাহিকভাবে জুলাই অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে নানা অর্থবহ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গায়েবানা জানাজা, কবর জিয়ারত, শহীদ পরিবারের খোঁজখবর, সহযোগিতা, ঈদ ও বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে শহীদ পরিবারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, ‘ফ্রেমবন্দি ৩৬ জুলাই’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী, গণহত্যার বিচারের দাবিতে সপ্তাহব্যাপী আন্দোলন, জুলাই স্মৃতিলিখন প্রতিযোগিতাসহ ছাত্রশিবির ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এরই অংশ হিসেবে জুলাইয়ের স্মৃতিকে ধারণ, গণহত্যার বিচার নিশ্চিতকরণ, জাতীয় ঐক্য সুসংহত করতে সততা ও দক্ষতায় প্রজন্ম গড়ার প্রতিজ্ঞায় ‘জুলাই জাগরণ নব উদ্যমে বিনির্মাণ’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করছি।

১. সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, রিসার্চ কনফারেন্স, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন

২. শহীদদের কবর জিয়ারত, শহীদ পরিবার ও আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়

৩. শাখাভিত্তিক জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে ‘জুলাই দ্রোহ’ শিরোনামে বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন

৪. সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক প্লেসে ‘জুলাই জাগরণ নব উদ্যমে বিনির্মাণ’ শীর্ষক আলোকচিত্র ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী এবং কালচারাল ফেস্ট আয়োজন

৫. জুলাই গ্রাফিতি অঙ্কন

৬. জুলাইয়ের গল্প ও স্মৃতি বলা, স্মৃতিলিখন, বক্তব্য, রচনা, বিতর্ক, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা প্রভৃতি আয়োজন

৭. শহীদদের নামে লাইব্রেরি/পাঠাগার প্রতিষ্ঠা

৮. শহীদ পরিবার, আহত ও আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী গাজীদের নিয়ে ‘ত্যাগীদের চোখে আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও পডকাস্টের আয়োজন

৯. জুলাইয়ের ওপর সাহিত্য সাময়িকী ও বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ

১০. জুলাই স্মৃতি লিখন প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান ও জুলাই প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন ও প্রদর্শনী।