
নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসn যাকে বিশ্ব চিনেছে ক্ষুদ্র ঋণের জনক ও দারিদ্র্য বিরোধী লড়াইয়ের আন্তর্জাতিক প্রতীক হিসেবে—আজ নিজ দেশে কি শুধুই এক বিতর্কিত চরিত্রে পরিণত হচ্ছেন?
সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একাধিক মামলার প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠেছে: এই বিচার কি ন্যায়বিচার, নাকি প্রতিহিংসার রাজনীতি?
বিশ্বজুড়ে নোবেল জয়ী নেতারা, মানবাধিকার সংস্থা এবং খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদরা ড. ইউনূসের পক্ষে কথা বললেও, দেশে তাকে ঘিরে চলছে এক ধরনের ‘চরিত্র হননের’ চেষ্টা।
এক বিশ্লেষক বলেন,“যে ব্যক্তি গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে লাখো নারীর জীবনে আলো এনেছেন, আজ তাকেই বারবার আদালতের বারান্দার ঘুরতে হচ্ছে। এ যেন একটি জাতির আত্মঘাতী প্রবণতা।”
ড. ইউনূস বলছেন,“আমি কোনো অপরাধ করিনি। আমার বিরুদ্ধে যে-সব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি জনগণের ভালোবাসা নিয়ে কাজ করেছি, করব।”
অনেকেই মনে করেন, তার আন্তর্জাতিক জনপ্রিয়তা ও বিকল্প ভাবধারার জনপ্রিয়তা কিছু মহলের গাত্রদাহের কারণ। তাই তাকে ‘দৃষ্টান্ত’ বানানোর চেষ্টা চলছে।
ড. ইউনূস কি নিজের দেশের হাতে অপমানিত হচ্ছেন?
নাকি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথে এটা একটি স্বাভাবিক অধ্যায়?
ড. ইউনূসের নাম শুনলেই বিশ্ব চিনে বাংলাদেশকে একটি জাতিকে, যে দারিদ্র্যের মাঝেও সম্ভাবনার গল্প লেখে। অথচ সেই মানুষটিই আজ নিজ মাতৃভূমিতে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানো! প্রশ্ন রয়ে যায়, আমরা কি এমন একটি সমাজ গড়ছি, যেখানে অবদান নয়, ভয় এবং প্রতিহিংসাই মূল চালিকাশক্তি?
সূত্র: জনকণ্ঠ